দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করেও ডিএ বাড়েনি রাজ্য সরকারি কর্মীদের। এদিকে পঞ্চম বেতন কমিশনের অধীনে বকেয়া ডিএ আদায়ের জন্যে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে বহু বছর ধরে। এরই মাঝে এবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে চিঠি গেল কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের থেকে। উল্লেখ্য, এই দফতর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই হাতে। জানা গিয়েছে, কোন দফতরে কর্মীর সংখ্যা কত, তা জানতে চেয়ে চিঠি গিয়েছে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের থেকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সচিবালয়গুলিতে লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সেকশন অফিসার পদে মোট অনুমোদিত পদ ও সেখানে কত জন কর্মী আছেন তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান চাওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ শুনানির আগেই 'কষ্টের আপডেট' দেন মামলাকারী...)
আরও পড়ুন: বছরের শুরুতেই মালামাল বাংলাদেশ, তুলনায় ভারত কোথায় জানেন? একনজরে পরিসংখ্যান
জানা গিয়েছে, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কোন দফতরে কর্মীর সংখ্যা কত, তা জানিয়ে চিঠি দিতে হবে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের থেকে। এই আবহে নতুন নিয়োগ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলিতে ডিএ সহ একাধিক ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন সরকারি কর্মীরা। এমনকী আদালতে মামলাও হয়েছে। ডিএ মামলায় তো সরকার পরপর হেরেছে হাই কোর্টে। তবে আপাতত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে আছে। ডিএ আন্দোলনকারীদের অন্যতম দাবি ছিল, স্বচ্ছ নিয়োগ। (আরও পড়ুন: কার্যত 'হার' মেনে নিয়েও লড়াই জারি? হাসিনাকে নিয়ে নয়া পদক্ষেপ বাংলাদেশে)
আরও পড়ুন: কোটি টাকা কোনও ব্যাপারই ছিল না, 'খেলা' হত নগদেই, পার্থর পর্দা ফাঁস জামাইয়ের
উল্লেখ্য, বর্তমানে ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে ৫৩ শতাংশ হয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক বেড়েছে আরও। গতবছর বড়দিনে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। তবে এবার আর সেই সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রাপ্য আরও ৩৯ শতাংশ ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭০ সালের পে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কারণে কেন্দ্রে যখন পঞ্চম বেতন কমিশন কার্যকর হয়, তখন রাজ্যে চতুর্থ কমিশন আসে। আর কেন্দ্রে সপ্তমের জায়গায় রাজ্যে বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছে।