মালদার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারকে একেবারে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। কার্যত গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছিল দুলাল সরকারকে।
কিন্তু কেন?
কেন দুলালকে খুন করা হল?
সোমবার দুলাল সরকার ওরফে বাবলা সরকারের বাড়িতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি দুলালের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে এরপরই সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক দাবি করেন মৃত দুলাল সরকারের স্ত্রী। তিনি বলেন, বাবলা সরকার, দুলাল সরকার মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে এমন জায়গায় গিয়েছে যে সেটা তাদের হিংসার কারণ। অবশ্য়ই নিকৃষ্ট মনের মানুষ তারা এটা করেছে। লোভ, পাওয়ারের যে লোভ ভীষণ রকমের চাহিদা থেকে এটা করেছে।একজন নয়, একাধিক জন এর সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি আমরা জানতাম তিনি চেয়ারম্যান হবেন। তবে এনিয়ে বেশি বলতে চাইছি না। পুলিশ তদন্ত করুক। রাজনীতি করতে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে। কিন্তু তার মানে নৃশংসভাবে কাউকে খুন করবে। দিনের আলোর মতো পরিষ্কার কে বা কারা এই খুন করেছে…আমার কাছে যে তথ্য় আছে।
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুলালের স্ত্রী সহ পরিজনরা। চন্দ্রিমা সংবাদমাধ্যমে বলেন, কাউকে ভাড়া করে কেউ তো নিয়ে এসেছে। কেউ টাকে খুঁজতে হবে। পুলিশ খুঁজবে। মুখ্য়মন্ত্রী নিজেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেন নিরাপত্তারক্ষী সরিয়েছে, কার কথায় সরিয়েছে তা আগামী দিনেই প্রকাশ পাবে। গোষ্ঠীকোন্দল টোন্দল জানি না, কোথাও কেউ কিছু করে থাকে, যে গোষ্ঠীর যে হোক না কেন, অন্য রাজনৈতিক দল হোক সাধারণ লোক হোক, গোষ্ঠী হোক ধরা পড়বে।
তিনি বলেন, অপরাধীর জাত বর্ণ হয় না। ধরা পড়বে। নজরদারি নেই কেউ বলবে না। বিএসফের নজরদারি সত্ত্বেও তো জঙ্গিরা ঢোকে। তবে নজরদারির ফাঁক ফোকর গলেই তো জঙ্গিরা ঢোকে।
চন্দ্রিমা বলেন, মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে বাবলা সরকারের স্ত্রী দেখা করতে চাইলে তিনি নিশ্চিতভাবে পারবেন। মুখ্য়মন্ত্রী এমন কোনও একটা বাঁধ তৈরি করেন না কর্মীর সঙ্গে।
গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের কারখানার কাছেই খুন হয়েছিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা দুলাল সরকার। বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা দুলাল সরকারকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, প্রাণ বাঁচাতে কারখানায় ঢুকে পড়েছিলেন দুলাল সরকার। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।