ইংরেজবাজারে তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলা সরকার খুনে ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন বিহারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া খুনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশে ইংরেজবাজার পৌঁছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানে পৌঁছে তৃণমূল কর্মীদেরই একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
বৃহস্পতিবার বাবলা সরকারের খুনের ঘটনায় নবান্নে বসে নিজের পুলিশকেই ভর্ৎসনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে সকালে ঘটনার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার সম্ভব জৈন। এর পর সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে শুরু হয় তদন্ত। সেই ফুটেজ থেকে মোট ৪ জন আততায়ীকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। তার মধ্যে সামি আখতার বিহারের কাটিহার জেলার আজমনগরের বাসিন্দা। অপর ধৃত টিঙ্কু ঘোষ ইংরেজবাজারেরই জাদুপুর গাবগাছির বাসিন্দা। অন্য ২ আততায়ীর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনায় ২ জনের গ্রেফতারির খবর নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার ও ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইংরেজবাজারে বাগবাড়ি বাঁধ নুনবাহি এলাকায় ঝোপের মধ্যে থেকে খুনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইংরেজবাজার পৌঁছন ফিরহাদ। সেখানে পৌঁছলে বাবলা সরকারের খুনিদের শাস্তির দাবিতে তাঁর সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। ঘটনায় পিছনে যারা রয়েছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ফিরহাদ।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজের কারখানার সামনে আততায়ীদের গুলিতে মৃত্যু হয় ইংরেজবাজারের কাউন্সিলর তথা জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি বাবলা সরকারের। তাড়া করে একটি দোকানের মধ্যে ঢুকে তাঁকে গুলি করে ২ আততায়ী। তখন পিছনে পাহারায় ছিল আরও ১ জন। আততায়ীদের মুখ ছিল কাপড় দিয়ে ঢাকা।