রবিবার সকালে বারাসতের নীলগঞ্জে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যুমিছিল বেড়েই চলেছে। আর এই বিস্ফোরণের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, বারবার নিষেধ করলেও শাসকদল তৃণমূলের মদতে বাজি কারখানা চালিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। গোটা এলাকায় একাধিক বাড়িতে বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছে বাজি ও বোমা। এদিন সকালে বিস্ফোরণের পর তেমন একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী। তবে ততক্ষণে তালা দিয়ে বাড়ি ছেড়েছেন বাড়িটির বাসিন্দারা।স্থানীয়দের দাবি, নীলগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় পুলিশ ও তৃণমূলের মদতে বেআইনি বাজি কারখানা চলে। বাজি কারখানা বন্ধ করতে চাপ দিলে পালটা জেলে ভরার হুমকি দেন তৃণমূল নেতারা। রবিবার সকালে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে পৌঁছলে স্থানীয়রা বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা জানান এলাকায় একাধিক বাড়িতে এরকম বেআইনি বাজি কারখানা চলছে। সেখানে বাজির আড়ালে তৈরি হয় বোমা। সব জানেন মন্ত্রী রথীন ঘোষও।একথা বলে স্থানীয়রাই এলাকায় আরেকটি বাড়ির সামনে নিয়ে যান সাংবাদিকদের। তালাবন্ধ সেই বাড়ির সামনে পড়ে রয়েছে বস্তা ভর্তি কোনও জিনি। স্থানীয়রা জানান এই বাড়িতেও বেআইনি বাজি কারখানা চলে। বাজির সরঞ্জামই বস্তা বন্দি করে রাখা হয়েছে। এর পর ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বাড়িটি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি মোজপোল ও আসেপাশের গ্রামগুলিতে এরকম বহু বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে না। এলাকা বারুদ ও বিস্ফোরকে ভর্তি। পরিবার নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। আশঙ্কা, যে কোনও দিন একই পরিণতি হতে পারে তাঁদেরও।