জম্মু–কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে। আর তাই এখন ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি রয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ু সেনা। এই আবহে কর্মরত সেনা জওয়ানের বাড়িতে এবার হুমকির পোস্টার পড়ল। চরম আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার। তাঁরা এখন ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। নদিয়ার শান্তিপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও উঠছে ভারত বিদ্বেষের প্রশ্ন। আর আজ শনিবার নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার ঘটনায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। গ্রামের মানুষজনের মুখে এটাই চর্চিত হচ্ছে।
যুদ্ধের পরিস্থিতিতে এখন শত্রুদেশ পাকিস্তান গোলাগুলি চালাচ্ছে। শান্তিপুরের সেনা জওয়ান বিশ্বজিৎ নাগ এখন কর্মরত রয়েছেন ত্রিপুরায়। সেখানের সীমান্তে দাঁড়িয়ে দেশকে রক্ষা করছেন। আর স্ত্রী সুপর্ণা নাগ তাঁর দুটি সন্তান নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন। এমনিতেই এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে চিন্তা বেড়েছে। তার মধ্যেই অভিযোগ, আজ সকালে বাড়ির উঠোন পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখেন একটি কাগজের টুকরো পড়ে রয়েছে। আর তাতে লেখা রয়েছে—‘পাকিস্তানের জয়, বাংলাদেশের জয়। ত্রিপুরায় আছে, বাংলাদেশিদের ধরছে।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা, ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি, গ্রামের ছেলে ‘অগ্নিবীর’ হতে চলল
এই পোস্টারই চিন্তায় ফেলে দিয়েছে জওয়ান বিশ্বজিৎ নাগের স্ত্রী সুপর্ণা নাগকে। এই পোস্টার দেখে আতঙ্কে পড়ে যান তিনি। আর সংবাদমাধ্যমে জওয়ানের স্ত্রী বলেন, ‘বাড়িতে আমি একা আছি। যেহেতু স্বামী একজন সেনা জওয়ান তাই কর্মসূত্রে রয়েছে ত্রিপুরায়। এই পরিস্থিতিতে চলছে ভারত এবং পাকিস্তানের যুদ্ধ। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে ত্রিপুরায় সেনাবাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আর সেখানেই রয়েছে আমার স্বামী। সেখানে বাড়িতে এই ধরনের হুমকির পোস্টার পড়ায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।’
একের পর এক জঙ্গি নিহত হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আক্রমণে। যার সংখ্যা বহু। তারপর ভারতের উপর পাল্টা আক্রমণ করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে গিয়েছে পাক সেনারা। আজ, শনিবার পাকিস্তানের তিনটি বিমান ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত বলে সূত্রের খবর। সেখানে এমন পোস্টার নিয়ে সেনা জওয়ানের দাদা কাজল নাগের দাবি, ‘ভাই এই ঘটনা জানার পর খুবই উদ্বিগ্ন। আমরাও যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কারণ একদিকে যেমন ভারত বিদ্বেষ অপরদিকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ প্রেমিকরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এখন দেখার এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তরা কতক্ষণে ধরা পড়ে পুলিশের জালে।’