সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এক ধাক্কায় বৃহস্পতিবার চাকরি চলে গিয়েছে ২৬ হাজার জনের। যার প্রভাব পড়েছে রাজ্যের স্কুলগুলিতে। কোনও স্কুলে একসঙ্গে ৩৬ জনের আবার কোনও স্কুলে ১১ জন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। আবার কোনও স্কুলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একজন শিক্ষক থাকলেও চাকরি গিয়েছে। আবার সুপ্রিম রায়ের ফলে কোনও স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীই আর রইল না। ফলে স্কুলে ঘণ্টা বাজাবে কে বা গ্রুপ ডি কর্মীদের অন্যান্য কাজ কে করবেন? তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে স্কুলগুলি। (আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে কতগুলি ওয়াকফ সম্পত্তি আছে? কলকাতার কোন সব জায়গার ওপরে দাবি ওয়াকফের?)
আরও পড়ুন: সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি হারানোর পর আইনি পথ আছে একটাই! কী বলছেন আইনজীবীরা?
ঝাড়গ্রামের ননীবালা বালিকা বিদ্যালয়ে নবম দশমে একজন শিক্ষক অঙ্কের বিষয় পড়াতেন। চাকরিহারাদের তালিকায় তিনিও রয়েছেন। অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার ব্যানার্জিডাঙা হাইস্কুলে একই সমস্যা। বীরভূমের ইলামবাজারের সাহাপুর হাইস্কুল, দুর্গাপুরের বেনাচিতি হাইস্কুলে আবার কোনও গ্রুপ ডি কর্মীই রইলেন না। ফলে ঘণ্টা বাজানো থেকে শুরু করে স্কুলের গেট খোলা, লাগানো সবকিছু নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক মহলের বক্তব্য, এর ফলে স্কুলের পঠন-পাঠন থেকে স্কুল খোলা, মিড ডে মিল চালানো সবকিছুর ওপর প্রভাব পড়বে। (আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে সংসদে জয়, তবে বিজেপির সামনে অপেক্ষা করছে বড় পরীক্ষা)
আরও পড়ুন: ইউনুসের উস্কানির পর উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে মুখ খুললেন খোদ মোদী, ভারতের PM বললেন…
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, যেহেতু সিমেস্টার পদ্ধতিতে পড়াশোনা শুরু হয়েছে তাই চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়া অনেক শিক্ষক শিক্ষিকাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে পারাক্রম শেষ করা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে সংসদের। প্রসঙ্গত বহু স্কুলে পরীক্ষা চলছে তার জন্য বৃহস্পতিবার অনেক শিক্ষক শিক্ষিকায় গার্ডের ডিউটিতে ছিলেন সেই সময় অনেকেই ফোনে চাকরি না থাকার খবর জানতে পেরে কাঁদতে কাঁদতে স্কুল থেকে বেরিয়ে যান।
আরও পড়ুন: বিদ্রোহ-অভ্যুত্থানের চেষ্টার মাঝে প্রতিবেশী দেশের সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে মোদী
মুর্শিদাবাদের অর্জুনপুর হাইস্কুলে আবার ষাট জনের মধ্যে ৩৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের বহু স্কুলে একই অবস্থা। এ বিষয়ে অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রিসেস সংগঠনের সদস্যদের বক্তব্য, বর্তমানে বহু স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা কম আছে। তার ওপর এই রায়ের ফলে বহু শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়া নিয়ে। তবে স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা এবিষয়ে আইন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করছেন। স্কুল চালানো বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু নিয়ে কী করা যায় সেবিষয়ে আজ শুক্রবার আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।