সাদা একটা পাতা। তাতে নাম, শ্রেণি আর রোল নম্বর লেখা ছিল। এরপর লেখা ছিল ‘মা আমি বলে যাচ্ছি যে আমি কুড়কুড়েটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। চুরি করিনি’। কিশোরের এই লেখা পড়ে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল অনেকেরই।অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। অনেকেই বিষন্ন হয়ে পড়েছিলেন এই ঘটনার কথা জেনেন।
এটা লিখেছিল কৃষ্ণেন্দু দাস। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। এমনটাই বিভিন্ন মহলের তরফে দাবি করা হয়। এরপর উদ্ধার হয়েছিল দেহ।
এবার সেই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন কৃষ্ণেন্দুর মা। তবে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিত ঘটনার পর থেকেই পলাতক। এদিকে ওই শুভঙ্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে সে ওই স্কুল ছাত্রকে চোর অপবাদ দিয়েছিল। কেন সে চিপসের প্য়াকেট চুরি করেছে তা নিয়ে অপবাদ দিয়েছিল। কিন্তু কৃষ্ণেন্দু অবশ্য় লিখে গিয়েছে সে চিপস চুরি করেনি।
বাবা মাকে দোকানে ডেকে আনতে বলেছিল শুভঙ্কর। দোকানে শুভঙ্করের সামনেই মা সামান্য় শাসন করেছিল। কিন্তু কার্যত অভিমানেই বিষ খেয়েছিল সে। কিন্তু তার আগে লিখে গিয়েছিল তার শেষ কথাটা। এবার সেই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল।
এদিকে সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা যায় যে চিপসের প্যাকেটটি দোকানের সামনে পড়েছিল। সেটাই সে কুড়িয়ে নিয়েছিল।