সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে গুগল প্লে স্টোর-এ মাঝেমধ্যেই নানা আপডেট করা হয়। তেমনই আপটেডের জেরে প্লে স্টোর থেকে একটি অ্যাপ যে ধীরে ধীরে হাওয়া হয়ে যাচ্ছেন, সেটা কি লক্ষ করেছেন?
ঘটনা হল - গুগল প্লে স্টোর (ভার্সন ৪৪.১)-এর ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ফিচার আর থাকছে না। সেটি হল - 'শেয়ার অ্যাপস'। বলতে গেল একেবারে চুপি চুপিই শেয়ার অ্য়াপস-কে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে!
শেয়ার অ্য়াপস লঞ্চ করা হয়েছিল ২০২১ সালে। ইউজারদের কাছে এই ফিচারের জনপ্রিয়তা বেশ ভালো। কারণ, এর সুবিধা হল - শেয়ার অ্য়াপস-এর মাধ্যমে আপনি যে কোনও ইনস্টল করা অ্যাপ অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। কিন্তু, এবার সেসব অতীত হতে চলেছে।
গুগল সূত্রে জানা গিয়েছে, শেয়ার অ্য়াপস যে এত ভালোভাবে এবং কোনও ঝামেলা ছাড়াই কাজ করত, তার নেপথ্যে ছিল একটি বিশেষ প্রযুক্তি। যার নাম - গুগল'স ফাস্ট শেয়ার টেকনোলজি।
কিন্তু, আপডেটের ফলে যে সেই অ্য়াপস অতীত হয়ে যাচ্ছে, সেটা প্রথম নজরে আসে নাইনটুফাইভগুগলের মাধ্যমে। আপডেট সংক্রান্ত ডেটা অন্তত তেমনটাই বলছে।
এর আগে ইউজাররা পেজের মধ্যে ঢুকে 'ম্য়ানেজ অ্য়াপস অ্য়ান্ড ডিভাইস'-এর মাধ্যমে শেয়ার অ্য়াপ ব্যবহার করতে পারতেন।
এই বিশেষ সেকশনটির সুবিধা ছিল যে - এর জন্য মোবাইলে সেই মুহূর্তে ইন্টারনেট কানেকশন বা মোবাইল ডাটা ব্যবহারের প্রয়োজন হত না। বস্তুত, সেসব ছাড়াই এক মোবাইলে ইনস্টল করা অ্যাপ অন্য মোবাইলের সঙ্গে আদানপ্রদান করা যেত।
এর ফলে সবথেকে বেশি উপকৃত হতেন, সেইসব গ্রাহকরা, যাঁরা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডেটা ব্যবহার করার সুযোগ পান।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এমন একটি ব্যবস্থাপনা গুগল যদি চুপি চুপি সরিয়ে দেয়, তাতে গ্রাহকদের একটা বড় অংশ সমস্য়ায় পড়বেন।
সূত্রের দাবি, এই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে বা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি গুগল কর্তৃপক্ষ। এমনকী কেন তারা এমন পদক্ষেপ করল, তারও কোনও ব্যাখ্য়া দেওয়া হয়নি।
ফলত, এ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে অনেক। তার মধ্যে সবথেকে বেশি যে যুক্তি খাড়া করা হচ্ছে, তা হল - শেয়ার অ্যাপস-এর ব্যবহারের ফলে নিরাপত্তায় বড়সড় গলদ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। খুব সম্ভবত সেই কারণেই চুপচাপ অ্য়াপটি সরানোর কাজ সারতে চেয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, পিটুপি (পেয়র-টু-পেয়র) শেয়ারিং ব্যবস্থাপনায় সর্বক্ষণই সুরক্ষা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ, এই ধরনের শেয়ারিংয়ের মাধ্যমেই ম্যালওয়্যার বা বিভিন্ন পাইরেটেড অ্য়াপ শেয়ার করা হয়।