আগামীকাল, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে রাজ্যসভা এবং লোকসভার সাংসদদের হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লিতে বলে সূত্রের খবর। নয়াদিল্লিতে দলের কার্যালয়ে এই জরুরি বৈঠক হবে। এখন দেশের যা পরিস্থিতি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা ওই জরুরি বৈঠকে। তবে এত দ্রুত এই বৈঠক কেন? সেটা নিয়ে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত এবং তার পরবর্তী ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা।
এদিকে যেটুকু জানা যাচ্ছে, আগামীকাল মঙ্গলবার ১১.৪৫ মিনিটে নয়াদিল্লির সাউথ অ্যাভেনিউতে দলীয় কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দল। লোকসভার সাংসদদের পাশাপাশি এই বৈঠকে হাজির থাকবে রাজ্যসভার সাংসদরাও। তেমনই ফরমান জারি করা হয়েছে। তবে কী নিয়ে ঝটিকা বৈঠক? সেটা সাংসদের জানানো হয়নি। অপারেশন সিদুঁরের পর বহুদলীয় সাংসদদের প্রতিনিধিদল নানা দেশে সফর করছেন। আর পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিচ্ছেন। তাঁরা ফিরে এলে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: দৌলতাবাদের সমবায়ে জয়ী বাম–কংগ্রেস প্রার্থীরা, তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে জয় এল
অন্যদিকে এই বৈঠক থেকে সংসদে প্রতিনিধিদলকে রাষ্ট্রপতির কাছে বা অন্য কোথাও পাঠানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদ এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিচ্ছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়টি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের বৈঠকে উঠে আসতে পারে। দেশের সুরক্ষা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের পাশে আছে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে কেউ যেন কোনও অপ্রীতিকর বা বিতর্কিত মন্তব্য না করেন, সেটা নিয়েও সকলকে সচেতন করা হতে পারে।
এছাড়া বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, ‘অসম, বিহার থেকে বাংলায় লোক ঢুকছে। আমাদের লোকের আধার নম্বর–সহ ডিটেলস তথ্য নিয়ে চলে যাচ্ছে।’ জেলাশাসক এবং ভোটার তালিকার কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রশাসনিক অফিসারদের সতর্ক থাকার বার্তাও দেন তিনি। আর একদিন আগেই রীতিমতো সার্কুলার জারি করে দলের জনপ্রতিনিধি ও ব্লক স্তরের নেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার নাম করে কিছু সংস্থা ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করছে। নেতা–মন্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ ঢুকেও দলের অভ্যন্তরীণ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।