ধর্ষণের পরই ৩ বার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন পুণে ধর্ষণ-কাণ্ডের অভিযুক্ত দত্তাত্রেয় রামদাস গাডে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার গ্রেফতারের পর তাঁর গলায় কালশিটের দাগ দেখতে পায় পুলিশ। আর সেই দাগ দেখেই তাদের অনুমান আত্মগোপন করে থাকার সময় একাধিকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত। (আরও পড়ুন: 'রাজনীতির আগে আমার পরিচয়- আমি মুসলিম', বললেন বাংলাদেশের নয়া দলের নেতা হাসনাতের)
গত মঙ্গলবার পুণের স্বরগেট বাসডিপোয় এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল শিরুরের দত্তাত্রেয় রামদাস গাদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। টানা ৭৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে শুক্রবার শিরুরের গুনাট গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ঘটনার পরই মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। গ্রেফতারি এড়াতে এবং পুলিশ যাতে তাঁর অবস্থান চিহ্নিত করতে না পারে, তার জন্য ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু জলতেষ্টাই তাঁকে ধরিয়ে দিল। এক আত্মীয়ের বাড়িতে জল চাইতে গিয়েছিলেন। আর তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন -Trump on Afghanistan: 'চিনের জন্যে' আফগানিস্তানে ফেরার পরিকল্পনা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন, গ্রেফতরির পর অভিযুক্ত দত্তাত্রেয় রামদাস গাদের গলায় তাঁরা কালশিটের দাগ দেখতে পান। সেই সম্পর্কে অভিযুক্তকে প্রশ্ন করা হলে, দত্তাত্রেয় রামদাস গাদে জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে সে আখের ক্ষেতের কাছে একটি গাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল।তবে একবার নয় তিন তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। কিন্তু প্রতিবারই দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ায় দত্তাত্রেয় রামদাস গাদের আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। (আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশের চেষ্টা ২০ পাচারকারীর, সংঘর্ষ সীমান্তে, জখম BSF, গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি)
স্বরগেট পুলিশ অভিযুক্তকে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট টিএস গাইগোলের আদালতে হাজির করে ধর্ষণ মামলার তদন্তের ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত দত্তাত্রেয় রামদাস গাদের আইনজীবী পুলিশি হেফাজতের বিরোধিতা করে বলেন যে, কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। দু'পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আদালত ১২ মার্চ পর্যন্ত অভিযুক্তের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার মুম্বই-বেঙ্গালুরুর মতো কলকাতা লাগোয়া এলাকায় অ্যাপে বুক করা যাবে অটো?
গত দু’দিন ধরে তন্ন তন্ন করে অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে পুণের স্বরগেট বাসস্ট্যান্ডে একটি ফাঁকা বাসে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কড়া পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় পুণে পুলিশকে। পুলিশের ১৩টি দল তৈরি করে অভিযুক্তের খোঁজ চালানো হয়েছিল। আনা হয় স্নিফার ডগও। এমনকি তাঁর বাড়ির কাছের আখ ক্ষেতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়।পুলিশ জানতে পেরেছে, ধর্ষণের ঘটনা মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৬টা থেকে ৬টার মধ্যে হয়েছে। নির্যাতিতা পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। সেই সময় এক ব্যক্তি তাঁর কাছে আসেন। তাঁকে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করেন। কোন বাসের অপেক্ষা করছেন জানতে চান। সব কিছু জানার পর তাঁকে বাসডিপোয় একটি বাসের সামনে নিয়ে গিয়ে বলেন, 'এই বাস ছাড়বে। আপনি ভিতরে গিয়ে বসুন।’ কিন্তু বাসে অন্য কোনও যাত্রী না দেখতে পেয়ে একটু খটকা লাগে। বাসে উঠে বসেন মহিলা। অভিযোগ, তিনি বাসে উঠতেই ওই ব্যক্তি দরজা আটকে দেন। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।