সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলছে সংখ্যালঘুদের বিক্ষোভ। বাংলার বিভিন্ন অংশে এনিয়ে অশান্তি ছড়িয়েছে। সেই আবহে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়ায় কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়ার সরকারকে ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে পশ্চিমবঙ্গের অশান্তি বিষয়টিও উঠে আসে।
আরও পড়ুন: 'যেখানে নমাজ পড়বে, সেটাই ওয়াকফ সম্পত্তি', বললেন কল্যাণ, BJP বলল ‘বাংলাদেশের…’
প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। কর্ণাটক হাইকোর্টের বক্তব্য হল, এই আইন যেহেতু বিচারাধীন বিষয় তাই এনিয়ে প্রতিবাদ ও কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়ার অধিকার সরকারের নেই। হাইকোর্টের বিচারপতি এম নাগপ্রসন্নের প্রশ্ন, ‘ওয়াকফ আইন শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন বিষয়। তারপরেও কীভাবে অনুমতি দিল রাজ্য সরকার?’ এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কথাও উঠে আসে বিচারপতির মন্তব্যে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বাংলায় ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অশান্তির ঘটনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি।
জানা গিয়েছে, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে গত ১৫ এপ্রিল একটি সংগঠনের তরফে কর্নাটকে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই কর্ণাটক সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে পথচারীদের নির্দিষ্ট রাস্তা এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিল। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেই কর্ণাটক হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। যদিও রাজ্যের দাবি, ট্রাফিক পুলিশের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। পথচারীদের যাতে সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতেই বিকল্প রাস্তার কথা জানানো হয়েছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে হাইকোর্ট।
উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, গাড়িচালকদের অন্য পথে যেতে বলাটা বিচার্য বিষয় নয়, কীভাবে রাজ্য সরকার একটি বিচারাধীন বিষয়ে কর্মসূচির অনুমতি দিল সেটাই বিচার্য বিষয়। কর্ণাটক হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, আইন মেনে সরকার এই কর্মসূচির অনুমতি দিয়েছিল কি না? কোন কোন এলাকায় এই কর্মসূচি হয়েছিল? আগামী ২০ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানিতে রাজ্য সরকারকে জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।