'ভারতীয়রা এটারই যোগ্য।' ২৬/১১ মুম্বই হামলাকারীদের পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান 'নিশান-ই-হায়দার' দিতে চেয়েছিল মাস্টারমাইন্ড তাহাউর রানা। এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন বিচারবিভাগ।
২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর আরেক অন্যতম চক্রী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে রানার কথোপকথনের কিছু অংশ প্রকাশ করেছে মার্কিন বিচারবিভাগ। মার্কিন বিচারবিভাগের দাবি, দুই জঙ্গির কথোপকথনে আড়ি পেতেছিল মার্কিন নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। সেখানেই তাঁদের মধ্যেকার কথাবার্তা প্রকাশ্যে এসেছে। বিবৃতিতে মার্কিন বিচারবিভাগ জানিয়েছে, মুম্বই হামলায় ছয় মার্কিন নাগরিক সহ ১৬৬ জনের মৃত্যুর পর উচ্ছ্বসিত রানা হেডলিকে বলে, ‘ভারতীয়রা এটারই যোগ্য।’ একই সঙ্গে যে ৯ জন জঙ্গি হামলা চালাতে গিয়ে নিহত হয়েছে, তাদের নিশান-ই-হায়দার দেওয়া উচিত বলে জানান রানা। এই নিশান-ই-হায়দার পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। যা সাধারণত ‘শহিদ’ সেনা জওয়ানদের দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-টিট ফর ট্যাট! মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত ১২৫% শুল্ক চাপাল চিন, বলল ‘একতরফা গুন্ডামি’
অন্যদিকে, তাহাউর রানাকে ভারতে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ হতেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে রানাকে ভারতের বিমানে তোলার ছবিও প্রকাশ হয়েছে।যেখানে দেখা গেছে, কয়েদির পোশাক পড়ে কোমরে ও পায়ে শিকল বাধা অবস্থায় তাহাউর রানাকে মার্কিন পুলিশ এনআইএ-এর হাতে তুলে দিচ্ছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভারতে আসতেই গ্রেফতার করা হয় রানাকে। এরপর এনআইএর বিশেষ আদালতে তোলা হয় তাহাউর রানাকে। সেখানে এনআইএ জিজ্ঞসাবাদের জন্যে রানাকে ২০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায়। তবে শেষমেশ ১৮ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত।
আরও পড়ুন-টিট ফর ট্যাট! মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত ১২৫% শুল্ক চাপাল চিন, বলল ‘একতরফা গুন্ডামি’
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিয়েছিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মামলায় পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিকের যোগসূত্র খুঁজে পায় ভারত। এরপর থেকেই তাঁকে ভারতে আনার চেষ্টা চলছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে রানাকে ভারতে পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরেই মেলে সাফল্য।