বিজ্ঞান ধারা স্কিম। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর ফোকাস রেখে তৈরি হল এই বিজ্ঞান ধারা স্কিম। এর মধ্যে স্কুলস্তরে বিশেষ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামও থাকছে। ১০,৫৭৯ কোটি টাকার এই স্কিমের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে এই স্কিমের অনুমোদন মিলেছে। এই স্কিমের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একেবারে একাদশ -দ্বাদশ শ্রেণি থেকে ইন্টার্নশিপ ও পরবর্তীতে গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করবে সরকার।
সব মিলিয়ে পাঁচটি বিষয়ের উপর ফোকাস করা হয়েছে এক্ষেত্রে।
১) একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য এই ইন্টার্নশিপ কর্মসূচি। ইউজি- পিজি ,পিএইচডি, পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চের জন্য ফেলোশিপ মিলবে।
২) আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় গবেষণা
৩) জয়েন্ট রিসার্চ, জয়েন্ট প্রজেক্ট ও জয়েন্ট ফেলোশিপ।
৪) নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর জোর দেওয়া যেগুলি সমাজের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। যেমন আবহাওয়ার পরিবর্তন।
৫) শুধু গবেষণা নয়, বাস্তবে তার প্রয়োগ কতটা হচ্ছে, কতটা সমাজের উপকারে লাগছে তার উপর জোর দেওয়া হবে।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে এই নয়া স্কিমের মাধ্য়মে আখেরে উপকার হতে পারে সমাজের।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর বিশেষ আস্থা। নিয়ে আসা হচ্ছে বিজ্ঞান ধারা স্কিম। এর মাধ্য়মে বিজ্ঞানের পড়াশোনায়, গবেষণা, গবেষণাগারের উন্নতিতে সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ দেবে সরকার। এজন্য পাঁচটি স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ইন্টার্নশিপ। অর্থাৎ যে পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক ব্যাপার ছিল, একটা চিরাচরিত ব্যাপার ছিল সেখান থেকে বেরিয়ে কীভাবে আমরা বাস্তবের জীবনে পড়ুয়াদের সুযোগ করে দিতে পারি যাতে তারা কর্মসংস্থানের সুযোগ পান গবেষণার ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বেরিয়ে কীভাবে আমরা বাস্তব জীবনে পড়ুয়াদের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারি তারই দিশা দেখানো হবে। এর জেরে বিজ্ঞান, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। আরও এগিয়ে যেতে পারবেন পড়ুয়ারা। বড় প্রজেক্টের ক্ষেত্রে একাধিক দেশ মিলিয়ে কাজ করে। ভারতের নতুন পরিচয় তৈরি হয়েছে। এই নতুন পরিচয়কে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করব। ভারতের যে প্রতিভা তা অত্যন্ত মূল্যবান। কিন্তু ব্রেন ড্রেন যাতে না হয় সেজন্য জয়েন্ট রিসার্চ, জয়েন্ট প্রজেক্টস, জয়েন্ট ফেলোশিপে ফোকাস করা হবে। যে সমস্ত বিষয়গুলি আমাদের রোজকার জীবনে প্রভাব ফেলে যেমন আবহাওয়ার পরিবর্তন, সেগুলির উপর ফোকাস করে যাতে সমাজে একটা ভালো পরিবর্তন হয়। তবে একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে রিসার্চ হয়ে যায় কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে তার ফলাফলটা আসে না। কিন্তু সেটা বাস্তবে না হলে সমাজের উপকার হয় না।