আবারও বিতর্কে কর্ণাটকের আইপিএস অফিসার ডি রূপা মুদগিল।এবার আইজি ডি রূপা মুদগিলের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র ও অবৈধভাবে গোপনীয় নথিপত্রের ছবি তুলে রাখার অভিযোগ করেছেন কর্ণাটকের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল বর্তিকা কাটিয়া। জানা গেছে, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ব্যাচের আইপিএস অফিসার কাটিয়ার কর্ণাটকের মুখ্য সচিব শালিনী রজনীশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পাশাপাশি ডিজিপি অলোক মোহনের কাছেও এই বিষয়ে উল্লেখ করেন। উভয় কর্মকর্তাই বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগে নিযুক্ত আছেন। (আরও পড়ুন: রোহিত বিতর্কে 'হিটউইকেট' কংগ্রেস, ভারত অধিনায়ককে নেত্রীর 'অপমান' নিয়ে দল বলল…)
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, হেড কনস্টেবল মঞ্জুনাথ টিএস এবং হোমগার্ড মল্লিকার্জুন আইজি ডি রূপা মুদগিলের নির্দেশে কাটিয়ারের অনুমতি ছাড়া তাঁর চেম্বারে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ। ওই দু'জন তাঁর চেম্বারের ভিতরে ঢুকে জরুরি ফাইলের ছবি তুলেছিলেন এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছবিগুলি শেয়ার করেছিলেন। ডিআইজি কাটিয়ার দাবি, আইজি ডি রূপা মুদগিল তাঁর বিরুদ্ধে নেতিবাচক রিপোর্ট দায়ের করার হুমকি দিচ্ছেন। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোহরগোল পড়ে গিয়েছে কর্ণাটক পুলিশে। ডিআইজি বলেন, আধিকারিকের অনুপস্থিতিতে এবং তাদের অনুমতি ছাড়া তার চেম্বারে প্রবেশ গুরুতর অপরাধ। এই বিশেষ ঘটনাটি তাঁর নজরে এসেছে। কিন্তু এরকম অনেক ঘটনা তাঁর অজান্তেই আগেও ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও একই রকম ঘটনা ঘটতে পারে। যদি তার চেম্বারে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তাহলে রূপাকে দায়ী করা হবে। রূপা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারেন। (আরও পড়ুন: ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই’, মেনে নিলেন ইউনুস, উল্লেখ মোদীর)
আরও পড়ুন: 'দলের কেউ… কিছু করার চেষ্টা…', ব্যাগে মেয়ের দেহ উদ্ধার নিয়ে বিস্ফোরক হিমানীর মা
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করা নিয়ে আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন আইপিএস অফিসার আইজি ডি রূপা মুদগিল। ২০২৩ সালে কর্ণাটকের দুই সিনিয়র মহিলা আমলা আইএএস রোহিনী সিন্ধুরি এবং আইপিএস ডি রূপা মুদগিলের ‘ব্যক্তিগত লড়াই’ সোশ্যাল মিডিয়ার গণ্ডি অতিক্রম করে আদালতে পৌঁছয়।আইপিএস অফিসারের ব্যক্তিগত ছবি শেয়ারের অভিযোগ উঠে আইএএস-এর বিরুদ্ধে। দুই সিনিয়র মহিলা আমলার মধ্যে বিবাদের জেরে প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল কর্ণাটক সরকারকে। রোহিনী সিন্ধুরি তার মন্তব্যের জন্য ডি রূপা মুদগিলকে আইনি নোটিশ দেন। এই নোটিশে বলা হয়, নিঃশর্ত ভাবে তাঁকে লিখিত ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি রূপা মুদগিলকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি টাকা দিতে হবে। নোটিশে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে রূপাকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছিল যে ‘ক্ষমা প্রার্থনাটি’ আইপিএস অফিসারের ফেসবুক পেজে পোস্ট করতে হবে এবং মিডিয়ার সঙ্গেও শেয়ার করতে হবে।