ভয় পেলে মানুষ ভুলভাল কাজ করে বা ভুলভাল বকে। বাংলাদেশের এনসিপি নামক সদ্য গঠিত দলের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর অবস্থাও কতকটা যেন 'ভূত দেখা' ব্যক্তির মতো। কেন? কারণ সম্প্রতি বাংলাদেশি সেনা প্রধানের বিরুদ্ধেই আওয়ামি লিগকে ফিরিয়ে আনার অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক হয়েছিলেন। যদিও নিজের দলের সতীর্থ সারজিস আলমের সমর্থন পাননি সেই ইস্যুতে। এবার ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং নিয়ে বিস্ফোরক হাসনাত। আর তার রেশ ধরে কূটনৈতিক শিষ্টাচারও ভুলল এক বাংলাদেশি সাংবাদিক। উল্লেখ্য, হাসনাত সম্প্রতি বলেন, 'র’-এর স্টেশন হেডের সঙ্গে মিটিং করে তাদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না।' এই আবহে প্রশ্ন উঠছে হাসনাতরা কি ভোটে হারতে ভয় পাচ্ছেন? কারণ সংস্কারের অজুহাতে তারা বাংলাদেশের নির্বাচন পিছিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আর এখন ভারতের কাঁধে ভিত্তিহীন দোষ চাপানোর পুরনো পন্থা অবলম্বন করতে শুরু করেছেন হাসনাত। (আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে পাক স্বপ্ন ডোবাল ভারত, লঙ্কার ঝাঁঝে চোখে জল ইসলামাবাদের)
আরও পড়ুন: রাজৌরিতে অধ্যাপককে মারধরের অভিযোগ জওয়ানদের বিরুদ্ধে, তদন্তের নির্দেশ সেনা
আর হাসনাতের হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দিয়ে কূটনীতিক শিষ্টাচার ভুলেছেন বাংলাদেশি তথাকথিত সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান। বিদেশে থাকা এই ব্যক্তি সম্প্রতি ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মীদের একটি ছবি প্রকাশ করেন। সেখানে ভাতরীয় হাইকমিশনের এক ব্যক্তির মুখে লাল গোল দাগ কেটে সেই সাংবাদিক দাবি করেন, সেই ব্যক্তিই নাকি র’-এর স্টেশন হেড। জুলকারনাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে লেখেন, 'অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হলো ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের পরও **** ঢাকায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’-এর স্টেশন চিফ হিসেবে ভারতীয় হাইকমিশনের কভারে কাজ করে চলেছে।' (আরও পড়ুন: হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা, ভারতকে 'জ্ঞান' দিতে আসা বাংলাদেশে ঘটল ভয়াবহ কাণ্ড)
এরপর সেই সাংবাদিক আরও লেখেন, 'ফ্যাসিস্ট আওয়ামি লিগ এই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে বিগত ১৫ বছর ধরে। আওয়ামি লিগের অনুগতরা এখনও দেশের অভ্যন্তরে ডিপ্লোম্যাটের কভারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের এই আধিকারিক দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অতি দ্রুত *** ভারতে ফেরত পাঠাতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করছি।'