অপেক্ষার আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরেই শুরু হবে বর্ষবরণের আনন্দ। বিভিন্ন দেশে বাজি, পটকা ফাটানোর পাশাপাশি ফানুস জ্বালিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে নতুন বছরকে। তবে প্রতিবারের মতো এবারও বর্ষবরণে রাতে আতশবাজি পোড়ানো, পটকা ফাটানো এবং ফানুসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল বাংলাদেশ সরকার। একইসঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞা না মানলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বল জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে জরিমানার পাশাপাশি জেল পর্যন্ত হতে পারে। দেশের পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের তরফে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউ সেলিব্রেশন ‘হারাম’, ওসব করা যাবে না! ভারতের জামাত নেতার ফতোয়া জারি
গত ২৬ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ বলেছে, বর্ষবরণকে ঘিরে সব ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফাটানো, ফানুস উড়ানো বা যেকোনও ধরনের বিস্ফোরকের ব্যবহার এবারও নিষিদ্ধ থাকবে। এরপর সোমবার দেশের পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরও একইভাবে মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। তারপরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার অধিকাংশ এলাকায় বাজি ও পটকা ফাটানোর পাশাপাশি আতশবাজি পোড়ানো হয়েছিল। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত বর্ষবরণে রাত ১২ টা পর্যন্ত ৫২৬টি অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ। আর শুধু ঢাকা মহানগ থেকেই ১০৭ জন অভিযোগ জানিয়েছিলেন । সেক্ষেত্রে শব্দ দূষণ বন্ধ করার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য ফোন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় শব্দ বাজির তাণ্ডবের ফলে একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল। তাই এবার আরও কঠোর পদক্ষেপ করা হয়েছে।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আতশবাজি ও পটকা ফাটানোর কারণে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ হয়। এর ফলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাই শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা অনুযায়ী এই সমস্ত কার্যক্রম দণ্ডনীয় অপরাধ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রথমবার আইন ভাঙলে এক্ষেত্রে এক মাসের জেল হতে পারে বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। অথবা দুটি একসঙ্গে হতে পারে। আর দ্বিতীয়বারের ক্ষেত্রে ৬ মাসের জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে অথবা উভয় হতে পারে। মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এর ফলে জীববৈচিত্রেরও ক্ষতি হয়। তাই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বর্ষশেষের রাতে জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর আতশবাজি ও পটকা ফাটানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছে। এর ওপর নজরদারির জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।