রাতের চলন্ত ট্রেনে একা পেয়ে মহিলা ফুড ডেলিভারি কর্মীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা। আর নিজেকে বাঁচাতে চলন্ত ট্রেন থেকেই ঝাঁপ দিলেন ওই তরুণী। ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। এমন ঘটনায় ফের রাতের ট্রেনে মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে হায়দরাবাদে। তবে অভিযুক্ত যুবককে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আছে বাংলাদেশেই,ষষ্ঠ শ্রেণির ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন হোস্টেলে
জানা গিয়েছে, ২৩ বছর বয়সি ওই তরুণী মেদচালের বাসিন্দা। তিনি মোবাইল ফোন মেরামতের জন্য সেকেন্দ্রাবাদে গিয়েছিলেন। পরে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে সেখান থেকে ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনে বেশি ভিড় ছিল না। আলওয়াল স্টেশনে দুই মহিলা যাত্রী নেমে যাওয়ার পর ওই মহিলা বগিতে একা ছিলেন নির্যাতিতা। সেই সুযোগে এক পুরুষ যাত্রী তাঁকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তখনই ঝাঁপ দেন তরুণী। শনিবারের এই ঘটনায় তরুণী মাথা ও শরীরে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তিনি এখনও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সেকেন্দ্রাবাদের জিআরপি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেহভাজন যুবকের বয়স ২০ এর কাছাকাছি। তরুণীকে একা দেখতে পেয়ে সে মহিলা বগিতে ওঠে। এরপর সে তরুণীর কাছে এগিয়ে যায়। তাঁর কাছে যৌন আবেদন করে। কিন্তু, তরুণী তা প্রত্যাখ্যান করলে যুবক জোর করার চেষ্টা করে। ঘটনায় ভয় পেয়ে তরুণী চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন।
পরে পথচারীরা আহত অবস্থায় তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা রেল কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, তরুণী জানিয়েছেন যে অভিযুক্তকে একবার দেখলেই তিনি শনাক্ত করতে পারবেন। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিএনএস-এর ৭৫ ধারা (শ্লীলতাহানির চেষ্টা) এবং ১৩১ ধারায় (অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ) মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এরজন্য স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে। ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।