করোনাকালে কেন্দ্রের পাঠানো ১০০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একের পর এক কেন্দ্রীয় সংস্থাকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ছাড়াও ইডি এবং আয়কর দফতরে চিঠি পাঠান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। চিঠিতে শুভেন্দুর অভিযোগ, ২০২০ এবং ২০২১ সালে পিপিই কিট ও অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম কেনার সময় আর্থিক দুর্নীতি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই আবহে তদন্তের আর্জি জানান শুভেন্দু অধিকারী। যদিও শুভেন্দুর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার শাসক দলের তরফ থেকে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই বিষয়ে বলেন, 'ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী মানসিক ভারসাম্যহীন। বাংলার মানুষের প্রতি বৈষম্য, প্রতিহিংসা- এগুলোই বিজেপির কাজ।' (আরও পড়ুন: )
আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ, অষ্টম বেতন কমিশন থেকে OPS-এর দাবি, ৫০ বছর পর ধর্মঘটে থমকে যাবে রেল?
এদিকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বিস্ফোরক অভিযোগ জানানো চিঠির প্রতিলিপির ছবি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাতে তিনি লিখেছেন, 'কোভিডকালে পশ্চিমবঙ্গে একটি বিশাল বড় আর্থিক দুর্নীতি সংগঠিত হয়েছিল। পিপিই কিট এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে এই দুর্নীতি করে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। এর জন্য সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল।' এদিকে এই অভিযোগের সঙ্গে মুম্বইতে চিকিৎসা সরঞ্চাম এবং অক্সিজেন সরবরাহের দুর্নীতির অভিযোগকে যুক্ত করেন শুভেন্দু। (আরও পড়ুন: 'পুলিশের নামে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করব', থানায় দাঁড়িয়েই বললেন শুভেন্দু!)
আরও পড়ুন: বন্দে ভারতে চেপে মনে হবে এ যেন বিমান! চালু 'পাইলট' প্রকল্প, মিলবে কোন সুবিধা?
চিঠিতে শুভেন্দু লেখেন, 'কোভিডকালে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, কোভিড জাম্বো সেন্টার এবং মুম্বইয়ের অন্যান্য হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে অনিয়মের উল্লেখ করে সম্প্রতি এফআইআর দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা। পরে তার সঙ্গে অন্যান্য মামলাও যুক্ত হয়েছে। সেখানে অভিযোগ, যা খরচ হয়েছে, তার ৬০ শতাংশ বেশি খরচ দেখানো হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইডি শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট দায়ের করতে পারে। যা কিনা এফআইআর-এর মতোই। মনে হচ্ছে গোটা দেশেই ইন্ডি জোটের শরিকরা কোভিডকে হাতিয়ার করে অর্থ হাতিয়েছে। তা সে উদ্ধব ঠাকরের জমানার মহারাষ্ট্র সরকার হোক বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানার বাংলা।'