লন্ডনে বহু পুরানো একটি বাড়ি কিনেছিলেন এক দম্পতি। প্রায় ১৪৫ বছরের প্রাচীন ওই বাড়িটি। আর সেই বাড়ি খুঁড়তেই যা বেরিয়ে এসেছে তা দেখে কার্যত চমকে গিয়েছে ওই দম্পতি।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে ক্রিস্টোফার জোনস ও পালোমা মিলস তিনটি বেডরুমের ওই ভিক্টোরিয়ান হাউসটি কিনেছিলেন।
গত দু বছর ধরে ওই বাড়িতেই বাস করছিলেন তারা। বাড়িটিকে সংস্কার করারও নানা চেষ্টা তারা করেছিলেন।এরপর সম্প্রতি তারা ওই বাড়িতে খোঁড়াখুড়ি করার চেষ্টা করছিলেন। আসলে বাড়িটির নীচে দিয়ে পাইপলাইন নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
জোন্স নিউজ উইককে বলেছেন, চারদিকে একেবারে ধুলোয় ধুলো অবস্থা। তার মধ্য়েই হাড়গোড় মিলেছে। তিনি জানিয়েছেন, সিঁড়ির নীচে একটা টয়লেট তৈরি করব ভেবেছিলাম। সেই মতো পাইপের কিছু কাজ করতে হবে। সেই জন্য মেঝেতে খোঁড়াখুঁড়ি করা হচ্ছিল। আর তখনই একটি কংক্রিটের নীচে হাড় দেখতে পাওয়া যায়। ১৯৭০সালের কয়েন ও মোজাও মিলেছে।
তবে কেবলমাত্র একটা হাড় নয়, আরও হাড়গোড় মিলেছে। এদিকে ইঁদুরের গর্তের কাছে এই হাড় মিলেছিল। সেকারণে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল হয়তো এগুলি ইঁদুরের হতে পারে। কিন্তু হাড়গুলি দেখতে অনেকটা চোয়ালের হাড়ের মতো।
এদিকে ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে কাজ করেন ওই দম্পতি। ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করার পরেই অনেকেই বেশ উৎসাহিত।
গত ১৫ এপ্রিল মিলস একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি হাড়টি হাতে ধরে রয়েছেন।
এই হাড় দেখে নানাজনে নানা কথা বলছেন। একজন লিখেছেন, এবার পুলিশকে বলার সময় হয়ে গেছে। এবার ফ্রিতে আপনার বাড়ির কংক্রিট সরানো হবে। তারপর ৬ মাসের জন্য আপনাকে কাউন্সিল করও দিতে হবে না। কিছুটা মজা করেই লিখেছেন এক নেট নাগরিক।
অপর একজন লিখেছেন, ধরবেন না এসব। এগুলি ক্রাইম সিনের আওতায় রয়েছে।
এদিকে ২০২২ সালে ইউকের এক দম্পতি নিজেদের বাড়ি সংস্কার করার সময় খুঁড়েছিলেন। আর তখনই তাঁরা প্রচুর ধনরত্ন পেয়েছিলেন। রান্নাঘরের মেঝের নীচে রাখা ছিল থরে থরে সোনাদানা। প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন এই সব ধনরত্ন।
তবে এবার আর ধনরত্ন নয়, হাড়গোড় পেলেন দম্পতি। কীভাবে মাটির নীচে এটা এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এগুলি মানুষের নাকি অন্য কিছুর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।