গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে, বেশিরভাগ মানুষ কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করে। গ্রীষ্মকালে, যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করে, তখন এমন একটি জায়গায় যাওয়ার মতো অনুভূতি হয় যেখানে সবুজ শাকসবজি এবং শান্তির পাশাপাশি শীতল বাতাস থাকে। এর জন্য, পাহাড়ি স্টেশনের চেয়ে ভালো জায়গা আর কিছু হতে পারে না। ভাগ্যক্রমে, দেশের রাজধানী দিল্লির কাছে অনেক চমৎকার পাহাড়ি স্টেশন রয়েছে, যেগুলো মাত্র কয়েক ঘন্টা দূরে এবং গ্রীষ্মের ছুটি উপভোগ করার জন্য উপযুক্ত। এই জায়গাগুলোর আবহাওয়া কেবল শীতল এবং মনোরমই নয়, বরং সেখানকার উপত্যকা, হ্রদ, জলপ্রপাত এবং সুন্দর পাহাড় ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তোলে। তাহলে এবার গ্রীষ্মের ছুটিতে, কেন দিল্লির কাছে অবস্থিত এই পাহাড়ি স্টেশনগুলিতে ভ্রমণে যাবেন না?
মুসৌরি (উত্তরাখণ্ড)
'পাহাড়ের রানী' নামেও পরিচিত মুসৌরি, গ্রীষ্মের ছুটিতে ভ্রমণের জন্য সেরা পাহাড়ি স্টেশন। এটি দিল্লি থেকে বাসে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দূরে। গ্রীষ্মের ছুটিতে মুসৌরি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে ওঠে, কারণ গ্রীষ্মকালে এখানকার আবহাওয়া খুবই মনোরম থাকে। সবুজ পাহাড়, মেঘে ঢাকা উপত্যকা এবং শান্ত পরিবেশ এটিকে আরও বিশেষ করে তোলে। মুসৌরিতে কেম্পটি ফলস, গান হিল, মল রোড এবং কোম্পানি গার্ডেনের মতো সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে। সবচেয়ে বিশেষ বিষয় হল, মুসৌরি শিশুদের জন্যও একটি খুব আকর্ষণীয় জায়গা। শিশুরা এখানে খেলনা ট্রেনে চড়া এবং ট্রেকিং উপভোগ করতে পারে।
নৈনিতাল (উত্তরাখণ্ড)
গ্রীষ্মের ছুটিতে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের নৈনিতাল জেলাও ভ্রমণের জন্য একটি ভালো গন্তব্য। হ্রদের শহর নৈনিতাল রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই জায়গাটি তার সুন্দর নৈনি হ্রদের জন্য বিখ্যাত, যেখানে আপনি নৌকাবিহার উপভোগ করতে পারেন। এছাড়াও, টিফিন টপ, স্নো ভিউ পয়েন্ট এখানকার প্রধান আকর্ষণ। গ্রীষ্মকালে এখানকার আবহাওয়া খুব মনোরম হয়ে ওঠে। গ্রীষ্মের ছুটিতে যদি আপনি একটি স্মরণীয় পারিবারিক ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে চান, তাহলে আপনি নৈনিতাল ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন।
ল্যান্সডাউন (উত্তরাখণ্ড)
যদি আপনি কম জনাকীর্ণ এবং শান্তিপূর্ণ জায়গা খুঁজছেন, তাহলে ল্যান্সডাউন আপনার জন্য সেরা পর্যটন স্থান। এটি একটি ছোট কিন্তু খুব সুন্দর পাহাড়ি স্টেশন। রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পাহাড়ি স্টেশনের তাজা বাতাস এবং পাইন গাছের সবুজতা মনকে অপরিসীম প্রশান্তি দেয়। ল্যান্সডাউনে দেখার মতো স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে টিপ ইন টপ, ভুল্লা তাল এবং সেন্ট মেরি'স চার্চ। এখানকার শান্ত পরিবেশ আপনার পারিবারিক ভ্রমণকে বেশ স্মরণীয় করে তুলবে।
কসৌলি (হিমাচল প্রদেশ)
দিল্লি থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, কাসৌলি একটি শান্ত এবং সুন্দর পাহাড়ি স্টেশন। গ্রীষ্মকালে, এখানকার শীতল বাতাস এবং সবুজ প্রকৃতি মনকে প্রশান্ত করে। যদিও কাসৌলির আবহাওয়া সারা বছর মনোরম থাকে, গ্রীষ্মকালে এটি আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে। এখানে সানসেট পয়েন্ট, ক্রাইস্ট চার্চ এবং মাঙ্কি পয়েন্টের মতো দর্শনীয় স্থান রয়েছে। কাসৌলির সরু গলিপথ, ব্রিটিশ আমলের স্থাপত্য এবং বন-রেখাযুক্ত পথগুলি এটিকে আরও বিশেষ করে তোলে।
রানিক্ষেত (উত্তরাখণ্ড)
উত্তরাখণ্ড রাজ্যে অবস্থিত রানিখেত একটি অত্যন্ত সুন্দর পাহাড়ি এলাকা। এই গন্তব্যটি দিল্লি থেকে প্রায় ৩৭৬ কিলোমিটার দূরে। যদি আপনি প্রকৃতিকে গভীরভাবে অনুভব করতে চান, তাহলে অবশ্যই একবার রানিখেত ঘুরে আসুন। এখানকার সবুজ গাছপালা এবং সুন্দর পাহাড় মনকে পুরোপুরি মোহিত করে। এই সুন্দর জায়গাটি 'কুইন্স ফিল্ড' নামেও পরিচিত। লম্বা দেবদারু গাছ এই জায়গার সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করে। যদি আপনি গ্রীষ্মের ছুটি উপভোগ করার জন্য একটি সুন্দর গন্তব্য খুঁজছেন, তাহলে রানিখেত আপনার জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।