এরই নাম বোধহয় ভালোবাসা। স্ত্রীকে সুস্থ করে তোলার জন্য জলের মতো নিজেদের সব সঞ্চয় খরচ করেছেন। তার পরেও আশা ছেড়ে দিয়েছিল চিকিৎসকরা। কিন্তু আশা ছাড়েননি ডেং, ডেং উকাই। তার স্ত্রী ইয়ে মেইদির পাশে থেকেছেন সর্বক্ষণ। নেচেছেন, গান গেয়েছেন, নানা ভাবে স্ত্রীকে সাহস জুগিয়েছেন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার। সম্প্রতি তাদের লড়াইয়ের আর ভালোবাসার উপাখ্যানই উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে।
আরও পড়ুন - চুপিচুপি বিয়ে সারলেন, স্ত্রীর পরিচয় কেন গোপন রাখলেন খান স্যর? এ এস খান আদতে কে?
২০১৯ সালে বিয়ে
চিনের গুয়াংসি প্রদেশের বাসিন্দা ডেংয়ের বয়স ৩০। ২০১৬ সালে একটি বিয়েবাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় ইয়ে মেইদির। ইয়ে মেইদি তখন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। দুজনের আলাপ ধীরে ধীরে ভালোবাসার রূপ নেয়। রোগের জন্য ইয়ে প্রথমে ডেংকে প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু ডেং তাঁর সঙ্গেই জীবন কাটাতে চায়। পরে ইয়ে সিদ্ধান্ত বদল করলে ২০১৯ সালে দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের এক সন্তানও হয়। হানহাননাম রাখা হয় তার। এর পরেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ইয়েকে।
৩ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইয়ে মেইদির ক্যানসারের চিকিৎসা ছিল যথেষ্ট ব্যয়বহুল। ৩ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় তাঁর চিকিৎসায়। ভারতীয় মুদ্রায় যা কোটির অঙ্কে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের পরেও চিকিৎসকরা আশা ছেড়ে দিয়েছিল। ইয়েও আশা ছেড়ে দিতে বলে ডেংকে। কিন্তু ডেং আশা ছাড়েননি। বরং দ্বিগুণ আশা নিয়ে স্ত্রীর পাশে থেকেছেন। তাঁকে গখন শুনিয়েছেন, নাচ করেছেন। ইতিমধ্যে চাকরি ছেড়েও দেন হাসপাতালে বসে স্ত্রীর যত্ন নেবেন বলে।
আরও পড়ুন - কারওর জন্য মারাত্মক, কারওর উপর করোনার প্রভাব কম কেন? কোভিড ঘিরে এল নয়া তথ্য
শেষ পর্যন্ত ভালোবাসার জয়
শেষ পর্যন্ত ভালোবাসা ও সুচিকিৎসার জোরে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় ইয়েকে। তাঁর রোগ শুধু সেরেই যায়নি, বর্তমানে তিনি হাঁটাচলাও করতে পারেন। পুরো পরিবার আগের মতোই হাসিখুশি হয়ে গিয়েছে ফের। সংবাদমাধ্যমকে ডেং বলেন, ওর এখনও চলে যাওয়ার বয়স হয়নি। আমরা সবাই মিলে এখন খুশি আছি।