আবারও এক এলাহি আয়োজনের সাক্ষী হতে চলেছে সৈকত নগরী দিঘা। শোনা যাচ্ছে, আসন্ন রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই আয়োজন শুরু করে দিয়েছে এখানকার জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
পুরীর জগন্নাথ ধামের অনুকরণে দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। বিগ্রহের পুজো থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের আচার-অনুষ্ঠান, সবেতেই রয়েছে পুরীর অনুকরণ। রথযাত্রাতেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই সূত্রের দাবি।
দিঘার জগন্নাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে বিশালাকৃতির তিনটি রথ। রথযাত্রার সময়ে এগুলি সাজিয়ে তোলা হবে প্রথা মেনে। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে পালিত হবে মহোৎসব। যাত্রা শুরু করার আগে বেশ কিছু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হবে। যার মধ্যে অন্যতম হল - চন্দনযাত্রা ও স্নানযাত্রা।
জানা গিয়েছে, বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে জৈষ্ঠ্য মাসের পূর্ণিমা তিথিতে (১২ জুন, ২০২৫) জগন্নাথদেবের পবিত্র স্নানযাত্রার আয়োজন করা হবে। উল্লেখ্য, এই তিথি প্রভু জগন্নাথের জন্মতিথি হিসাবেও গণ্য করা হয়। গর্ভগৃহ থেকে বের করে একে একে স্নানবেদীতে এনে বসানো হবে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা, সুদর্শন চক্র ও মদনমোহন বিগ্রহ। এরপর পঞ্চামৃত সহযোগে ১০৮ কলসি জলে বিগ্রহগুলিকে যাবতীয় রীতিনীতি মেনে স্নান করানো হবে। তারপর সেগুলিকে সুন্দর করে সাজানো হবে।
সূত্রের দাবি, এবারের রথযাত্রায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রথযাত্রা শুরু করার আগে তিনিই সোনার ঝাঁটা দিয়ে যাত্রাপথ ঝাঁট দেবেন। তারপর সেই পথ ধরে এগোবে রথের চাকা।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দিঘা থানা সংলগ্ন পুরনো জগন্নাথ মন্দিরটিকে জগন্নাথের 'মাসির বাড়ি' হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করে সেই মন্দিরের পরিকাঠামো উন্নত করা হয়েছে। রথের সময় জগন্নাথের এই মাসির বাড়িতেও আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে নানা ব্যবস্থা করা হবে।