সোমবার রাতে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রানিয়া রাওকে। শরীরের বিভিন্ন অংশে এবং পোশাকের মধ্যে লুকিয়ে ১৪.৮ কেজি সোনা নিয়ে দুবাই থেকে ভারতে এসেছিলেন তিনি।এই পাচারের খবর আগে থেকেই ছিল ডিআরআই গোয়েন্দাদের কাছে, তার ওপর ভিত্তি করেই সোমবার গ্রেপ্তার করা হয় অভিনেত্রীকে।
কীভাবে হয় সন্দেহ?
গত ১৫ দিনের মধ্যে অভিনেত্রীর চারবার দুবাই ভ্রমণ করায় তিনি সন্দেহের তালিকায় আসেন। অভিনেত্রীর স্বামীও তাঁর সঙ্গে দুবাইয়ে যেতেন, কিন্তু এদিকে দুবাইয়ে অভিনেত্রী পরিবারের কোনও সদস্য নেই, সেখানে তাঁর ব্যবসাও নেই, তাহলে কেন বারবার তিনি দুবাই যাচ্ছেন তাও আবার এত কম সময়ে? এখানেই শুরু হয় সন্দেহ।
আরও পড়ুন: শুরুর আগেই অনির্দিষ্টকালের জন্য থমকে গেল অ্যাটলি-সলমন জুটির কাজ! কেন?
আরও পড়ুন: শুধু কবিতার উৎসব নয়, বাচিকশিল্প কর্মশালার বিরাট আয়োজন ব্রততীর
ভারতে অবতরণের পর তিনি নিজেকে কর্নাটকের পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মেয়ে বলে দাবি জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, দুবাই থেকে ভারতে আসার সময় বিমানবন্দরে কাস্টমস চেক এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি, যার ফলে দৃঢ় হয় সন্দেহ।
এই প্রথমবার নয়, এর আগেও নাকি দুবাই থেকে ভারতে তিনি বিনা বাধায় সোনা পাচার করেছিলেন। তবে রানিয়া একা, নাকি আরও কেউ এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তা খতিয়ে দেখবেন গোয়েন্দারা। সোনা কেনার উৎস কী, সেটাও তদন্ত করে দেখা হবে। যদিও গ্রেফতারের পরে অভিনেত্রী দাবি করেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে সোনা পাচার করতে বাধ্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সানির সঙ্গে ‘ঝগড়া’, কিন্তু ববির বউ শাহরুখের বোন! কিং খানের ফ্যামিলি ট্রি দেখুন
আরও পড়ুন: বড় পর্দায় আবার একসঙ্গে পরম-ইশা, ‘ঘরে ফেরার গান’-এর পর কোন গল্প নিয়ে ফিরছেন জুটিতে?
কে এই রানিয়া?
রানিয়া কর্নাটকের চিকমাগালুরের বাসিন্দা। চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করার আগে তিনি বেঙ্গালুরুর দয়ানন্দ সাগর কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছিলেন। ২০১৪ সালে সুদীপ পরিচালিত কন্নড় সিনেমা ‘মানিক্য’ - এর হাত ধরে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন তিনি।
শুধু কন্নড় সিনেমা নয়, ২০১৬ সালে ‘ওয়াঘা’ নামক একটি তামিল সিনেমার হাত ধরে তামিল ইন্ডাস্ট্রিতেও আত্মপ্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী। ২০১৭ সালে ‘পটাকি’ নামের একটি কন্নড় সিনেমায় একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে।