মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নের মহাকাল মন্দিরে পুজো দিলেন শ্রেয় ঘোষাল। সেখান থেকে বেরিয়ে মহাকালের ভস্মআরতি প্রতক্ষ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করার সময় দেখা যায়, তাঁর দু চোখ ভরে উঠেছে জলে।
প্রতিবছর লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হয় উজ্জয়নে। সেখানে মহাকাল মন্দিরে ভষ্মআরতি দর্শন করার অভিজ্ঞতা সারা জীমন মনে রাখার মতো। সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ শ্রেয়া মন্দিরে পৌঁছন। এবং সেখানে নন্দী হলে বসে দু ঘণ্টা ভষ্মআরতি প্রতক্ষ করেন তিনি।
পুজো দেওয়ার পর, শ্রেয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আমার অভিজ্ঞতা ভাষায় বর্ণনা করতে পারy না। মনে হচ্ছে, মহাকল নিজেই আমাকে ডেকে এনেছেন। আরতির সময় আমার হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়ে উঠেছিল এবং চোখ জলে ভরে যায়। এটা আমার জীবনের অন্যতম বিশেষ মুহূর্ত।’
মহাকাল মন্দিরের কর্তৃপক্ষকে নিয়ে এরপর শ্রেয়া বলেন, ‘মন্দিরের ব্যবস্থা অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং শ্রদ্ধায় পরিপূর্ণ। আমি বাবাকে অনুরোধ করেছি, যেন তিনি আমাকে বারবার তাঁর দরবারে ডাকেন।’
সম্প্রতি আইপিএল ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজের পারফরমেন্স দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল। যদিও কলকাতায় এসে, বাংলায় গান না গাওয়ায় কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এদিন নীল শাড়ি পরে, শ্রেয়া ঘোষাল পৌঁছন মন্দিরে পুজো দিতে। একটি ভিডিয়োতে তাঁকে মহাকালকে আরতি করতে দেখা গিয়েছে। পুজোর পর, মন্দিরের পুরোহিতরা তাঁর হাতে প্রসাদ ও আশীর্বাদর চাদর তুলে দেয়। শ্রেয়ার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা-ও।
আরও পড়ুন: বুলেটপ্রুফ কাঁচের আড়াল থেকে হাত নাড়লেন সলমন, ইদে আমিরের সঙ্গে এলেন কি গৌরী
উজ্জয়নের মহাকাল মন্দির, ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম। রুদ্রসাগর হ্রদের তীরে অবস্থিত এটি। শিবলিঙ্গটিকে স্বয়ম্ভু বা শিবের সাক্ষাৎ-মূর্তি মনে করা হয়। মহাকালেশ্বর মন্দিরের শিবলিঙ্গই একমাত্র জ্যোতির্লিঙ্গ, যা দক্ষিণ দিকে মুখ করে। এই মন্দিরে মহাদেবের সঙ্গে মা কালী, হনুমান, গণেশ ও ভগবান বুদ্ধও পূজিত হন। উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরের উল্লেখ রয়েছে কালিদাসের 'মেঘদূতম'-এ।