বলিউড অভিনেত্রী নুসরত ভারুচা কোনও স্টার কিড নন। বরং একজন আউটসাইডার। তাও তাঁর অভিনয়ের দক্ষতায় তিনি অল্প দিনেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তাঁর পরিবারের একটি দুঃসময়ের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। জানিয়েছেন তিনি কীভাবে তাঁর টাকা, পয়সা ম্যানেজ করেন বিশেষ ভাবে যেহেতু এমন একটা পেশায় আছেন যেখানে কাজ, আয়ের কোনও স্থিরতা নেই।
কী বলেছেন নুসরত?
নুসরত ভারুচা জানিয়েছেন তিনি তাঁর পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য। তাই তিনি সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকেন কারণ তাঁর পেশায় আয়ের কোনও স্থিরতা নেই। স্থিরতা নেই কাজেরও। তাই টাকা, পয়সা অত্যন্ত মেপে বুঝে খরচ করেন যে সেটা সেটাই নয়, ম্যানেজ করেন যাতে পরবর্তীতে সমস্যা না হয়। বিশেষ করে তিনি যেখানে নিজেই কলেজে পড়াকালীন অর্থনৈতিক সমস্যা দেখেছেন। হল খেয়ে দিন কাটিয়েছেন।
বলিউড বাবলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নুসরত ভারুচা জানিয়েছেন, 'খুব আগে থেকেই আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম যে প্রতি মাসে আমি কত টাকা খরচ করব। আমার বেসিক চাহিদাগুলো কী কী সেটাও ঠিক কর নিয়েছিলাম। আর আয়ের যে টাকা বেঁচে থাকে সেটা স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগ করি নইলে জমাই। টাকা কখনও আমার অ্যাকাউন্টে আসে না। আমার অ্যাকাউন্টেন্টদের নির্দেশ দেওয়া আছে তারা যেন সেটা সোজা আমার ওয়েলথ ম্যানেজারের কাছে পাঠিয়ে দেন বিনিয়োগ করার জন্য।'
তিনি এদিন এই বিষয়ে আরও জানান, 'আমার বাবার বয়স প্রায় ৭০ বছর, মায়ের ৬২। আমার ঠাকুমার ৯২ বছর বয়স। আর ওঁরা সবাই আমার উপর নির্ভরশীল। আমার ব্যাকআপ থাকা খুব জরুরি। ঈশ্বর না করুন কিছু হলে যাতে টাকার অসুবিধা না হয় সেটা দেখি।'
আরও পড়ুন: মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ, শ্যুটিং শুরু 'বুলেট সরোজিনী'র! সেট থেকে কী আপডেট দিলেন শ্রীময়ী?
কলেজের সময়ের আর্থিক অনটনের স্মৃতি হাতড়ে নুসরত বলেন, 'আমি জয় হিন্দ কলেজে পড়তাম। জুহু থেকে কলেজে যেতাম। আমার বাবার তখন বেশ আর্থিক অনটন যাচ্ছিল। ব্যবসায় ঠকে গিয়েছিল। তাই আমি খুব বুঝে ভেবে টাকা খরচ করতাম। আমি ৫ বছর ওই কলেজে পড়েছি, দিনে ৮ টাকার বেশি খরচ করতাম না আর সেটাও যাতায়াতের জন্য। ট্রেন বাসে করে কলেজ যেতাম আর ফিরে আসতাম। ওই কলেজে ফ্রি ছিল কেবল খাবার জল। আমার খিদে পেলে আমি জল খেতাম। বাবা যে আমায় টাকা দিতে চাইত না সেটা নয়। কিন্তু আমি সচেতন ভাবেই সেটা নিতাম না।'