কয়েক দিন আগেই ছিল বড় মেয়ে পায়েলের মৃত্যুবার্ষিকী। মেয়ের মৃত্যুর পর থেকেই আর সেভাবে পর্দায় ধরা দেননি মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। তবে এবার অভিনেত্রী সেই মায়ের চরিত্রেই পর্দায় ফিরছেন, যশ-নুসরতের ছবি ‘আড়ি’ -এর হাত ধরে। সবটা নিয়ে এবার নানা কথা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।
‘আড়ি’-এর হাত ধরে অনেক দিন পর বাংলা ছবিতে ফিরছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। এই ছবি মা -ছেলের গল্প বলবে। ছবিতে তাঁর ছেলের চরিত্রে রয়েছেন যশ দাশগুপ্ত। কিন্তু বড় মেয়ে পায়েলকে অভিনেত্রী হারিয়ে বহু দিন হয়ে গেল। তারপর এই চরিত্র, সব মিলিয়ে অনুভূতিটা ঠিক কেমন? আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বললেন, ‘পায়েল চলে যাওয়ার পর আমি তো সাত বছর বাড়ি থেকে বেরোতেই পারিনি। আমার স্বামীও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শোককে যেমন মেনে নিতে হবে, তেমনি বাইরে ব্যক্তিগত শোক প্রকাশ করা চলবে না। এখন সময়টা অন্য রকম।’
আরও পড়ুন: ‘ওর ইচ্ছে ছিল মায়ের বিয়েতে নিত-কনে হবে’, বেশি বয়সে মল্লিকাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে সাহস দেয় মেয়েই
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই শুরু হয়েছিল ছবির শ্যুটিং। রমরমিয়ে চলছে ছবির কাজ, কিন্তু তার মধ্যেও অভিনেত্রীর যত্নে একটুও খামতি রাখেননি নুসরত-যশ। ওই সাক্ষাৎকারেই অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে, তাঁদের আতিথেয়তায় তিনি খুব খুশি।
কিন্তু এত দিন পর এই ছবির হাত ধরেই কেন বাংলা ছবিতে প্রত্যাবর্তন করলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী মত, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাবাদের নিয়ে বাড়াবাড়ি। মা-ছেলের গল্প আমার ভালো লেগেছিল।’
আরও পড়ুন: 'ভালো ভালো সুযোগ পেয়ে ছেড়েছি' জনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আফসোস বিপাশার
উল্লেখ্য, এই ছবির খবর প্রকাশ্যে আসার পর আনন্দ প্লাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যশ জানিয়েছিলেন, 'আমাদের প্রথম ছবি 'সেন্টিমেন্টাল' ছিল পুরোপুরি বাণিজ্যিক ঘরানার ছবি ছিল। কিন্তু পরের প্রজেক্টে অন্য রকম কিছু করতে চাইছিলাম। বাংলায় মা ও ছেলেকে নিয়ে অনেক ছবিই হয়েছে। তবে আমরা যে ভাবে ছবিটি তৈরি করার কথা ভেবেছি, তার সঙ্গে অন্য কোনও ছবির মিল খুঁজে পাবেন না দর্শক। এখানে এক একটা চরিত্র, এক একটা সম্পর্কের কথা বলবে। রোজকার জীবনের ক্রাইসিসের সঙ্গে অনেক জটিল বিষয় ছুঁয়েছে ছবির গল্প।' তাছাড়াও যশ জানিয়েছিলেন, শুরু থেকেই তাঁরা এ ছবির জন্য মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কেই চাইছিলেন।