স্মিতা পাতিল শুধুমাত্র ‘মির্চ মশলা’, ‘মন্থন’, ‘অর্ধ সত্য’, ‘অর্থ’, এবং ‘মান্ডি’র মতো ছবিতে পাওয়ার হাউস অভিনয়ের জন্যই নন। তাঁর ‘ডাউন-টু-আর্থ’ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁকে অনেকেই ভালোবাসতেন। সম্প্রতি তাঁর ছেলে প্রতীক স্মিতা পাতিল ‘শক্তি’ (১৯৮২) এর সেটে থেকে তাঁর মায়ের সঙ্গে ঘটা এক অজানা ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন। যে ছবিতে দিলীপ কুমার, অমিতাভ বচ্চন এবং রাখির মতো কিংবদন্তি অভিনেতারা ছিলেন।
মেঝেতে বসতে স্মিতাকে 'না' করেছিলেন অমিতাভ
সম্প্রতি ভারিন্দর চাওলার ইউটিউব চ্যানেলে এক সাক্ষৎকার দেন স্মিতা পুত্র প্রতীক। তিনি জানিয়েছেন, সেসময় তাঁর মা স্মিতা বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার সঙ্গে নিয়ে যেতেন। সিনেমার সেটে লাইট ম্য়ান সহ সমস্ত কুশলীদের সঙ্গে মেঝেতে বসে খাবার ভাগ করে নিয়ে খেতেন।
প্রতীক বলেন, 'এত বড় সুপারস্টার স্মিতা পাতিল মেঝেতে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন। একদিন অমিতাভ বচ্চন তাঁকে একপাশে ডেকে নিয়ে বললেন শোনো, তুমি এটা করে সবকিছু নষ্ট করছো। তুম বেঠতে হো নীচে অ্যায়সে সব কে সাথ তো হামে খরাব দিখতে হ্যায়। কিউঁকি হাম নেহি করেঙ্গে তো হাম খারাব দিখেঙ্গে। হামকো ভি করনা পড়েগা অভি। হামে বুড়ে লাগ রহে হ্যায় আপকি ওয়াজাহ সে।
অর্থাৎ তুমি সকলে সঙ্গে মেঝেতে বসে খাবার খান, এটা আমাদের খারাপ লাগে কারণ আমরা তো এটা করছি না। তুমি মেঝেতে বসলে আমাদেরও এটা করতে হবে, নাহলে সেটা খারাপ দেখায়।'
প্রতীক বলেন, ‘কিন্তু মা ও ছিল বিন্দাস, মা অমিতাভজিকে বলেন, ’আপ যাও ভ্যান মে, ম্যায় খা রাহি হু (তুমি ভ্যানে যাও, আমি এখানে খাচ্ছি)।'
অমিতাভ-স্মিতা
প্রসঙ্গত ‘শক্তি’ (১৯৮২), ‘নমক হালাল’ (১৯৮২), 'পেট পেয়ার অউর পাপ' (১৯৮৪)-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন অমিতাভ ও স্মিতা। স্মিতা ‘শরাবি’ (১৯৮৪) ছবিতেও অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন। যেখানে জয়া প্রদা ছিলেন নায়িকা।
প্রতীকের ছবি
প্রতীক স্মিতা পাতিলকে সম্প্রতি হিট: দ্য থার্ড কেস সিনেমায় দেখা গেছে। শৈলেশ কোলানু পরিচালিত এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নানি ও শ্রীনিধি শেট্টি, সূর্য শ্রীনিবাস, রাও রমেশ, কোমালি প্রসাদ, নেপোলিয়ন সহ অন্যান্যরা।