তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে জিম্বাবোয়েকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করার পরে এবার ওয়ান ডে সিরিজও জিতে নিল আফগানিস্তান। বৃষ্টির জন্য সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচ মাঝপথেই ভেস্তে যায়। দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে মাত্র ৫৪ রানে অল-আউট করে বিশাল জয় তুলে নেন রশিদ খানরা। এবার সিরিজে তৃতীয় তথা শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাশুল দেয় জিম্বাবোয়ে এবং একতরফাভাবে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়েন সিকন্দর রাজারা।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবোয়ে। তারা ৩০.১ ওভারে মাত্র ১২৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। হোম টিমের হয়ে ব্যাট হাতে একা লড়াই চালান শন উইলিয়ামস। তিনি লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন।
উইলিয়ামস ৬১ বলে ৬০ রান করে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। এছাড়া বেন কারান ৩১ বলে ১২ রান করেন। মারেন ১টি চার। ১৮ বলে ১৩ রান করেন সিকন্দর রাজা। তিনি ২টি চার মারেন। ১৬ বলে ১০ রান করেন রিচার্ড এনগারাভা। তিনি ১টি বাউন্ডারি মারেন। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ক্যাপ্টেন ক্রেগ আরভাইন ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫ বলে ৫ রান করে মাঠ ছাড়েন।
আফগানিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত বল করেন গজনফর, যাঁকে গত আইপিএল নিলাম থেকে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দলে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তিনি ১০ ওভারে মাত্র ৩৩ রান খরচ করে একাই ৫টি উইকেট তুলে নেন। রশিদ খান ৮ ওভারে ৩৮ রান খরচ করে সংগ্রহ করেন ৩টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন ফরিদ আহমেদ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
পালটা ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান ২৬.৫ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৩১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৩৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। সেই সুবাদে ৩ ম্যাচে ওয়ান ডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয় আফগানিস্তান।
ওপেন করতে নেমে সেদিকউল্লাহ অটল ৫০ বলে ৫২ রান করেন। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৬৬ বলে ২৯ রান করেন আবদুল মালিক। তিনি ৪টি চার মারেন। রহমত শাহ ১৭ ও ক্যাপ্টেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচের সেরা হন গজনফর। সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন সেদিকউল্লাহ। তিনি ২টি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ১টি শতরান ও একটি অর্ধশতরান করেন।