ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে থানের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এবার তাঁর ভক্তদের জন্য এক স্বস্তির ভিডিয়ো সামনে এলো। যেখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বেড থেকে উঠে নাচে মেতেছেন তিনি। তাঁকে দেখে বেশ চনমনে মনে হচ্ছিল। তবে গত সপ্তাহে বেশ উদ্বেগ দেখা গিয়েছিল তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে। কাম্বলির অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠায় তাঁকে থানের আকৃতি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হাসপাতালের চিফ ইনটেনসিভিস্ট, ডাঃ বিবেক দ্বিবেদী, কাম্বলির স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটি আপডেট দিয়েছিলেন। যা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল তাঁর অনুরাগীদের মনে।
দ্বিবেদী বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘আমরা শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে ভর্তি করি। বাড়িতে তাঁর পেশিতে খিঁচুনি দেখা দিয়েছিল এবং মাথাও ঘোরাচ্ছিল। আমরা যখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসি, তখন তাঁর প্রচণ্ড জ্বর ছিল। পেশির খিঁচুনির কারণে হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাঁকে পরীক্ষার পর জানা গেছে যে তাঁর মূত্রনালীর সংক্রমণ ছিল। শরীরে সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের অভাবের কারণে পেশীতে ক্র্যাম্প ছিল। মস্তিষ্কের একটি পরীক্ষায় জানা গেছে যে তাঁর পুরোনো ক্লট ছিল, কারণ সম্প্রতি তাঁর একটি স্ট্রোক হয়েছিল। আমরা তাঁকে ICU-তে ভর্তি নিয়েছি, কারণ রক্তচাপ কম রয়েছে। তাঁর প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি স্থিতিশীল। বর্তমানে চিকিৎসা ও ফিজিওথেরাপি চলছে। আমরা তাঁকে ২-৩ দিনের মধ্যে ছাড়ার পরিকল্পনা করছি।’
ডাক্তার আরও জানান, ‘তাঁর মস্তিষ্কের অবস্থা স্থিতিশীল নয়... তাঁর মস্তিষ্কে অবক্ষয়জনিত পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। সুতরাং, আমরা রিহ্যাবের উপর আরও জোর দিচ্ছি।’ তবে, কিছু ইতিবাচক খবর উঠে এসেছে, একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে নাচছেন কাম্বলি। ক্লিপটি ভক্তদের মন জয় করেছে। কারণ এই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার দেখিয়েছেন যে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠার পথে রয়েছেন। কাম্বলি গত কয়েক বছর ধরে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে লড়াই করছেন। তাঁর সমস্যাগুলি জানার পর, ভারতের ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দল কাম্বলিকে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দেন। কপিল দেব এবং সুনীল গাভাসকর উভয়ই তাঁকে প্রকাশ্যে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
বিনোদ কাম্বলি, ১৯৯৩-২০০০ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে ১৭টি টেস্ট এবং ১০৪টি ওয়ানডে খেলেছিলেন। সম্প্রতি শিবাজি পার্কে কিংবদন্তি কোচ রমাকান্ত আচরেকারের স্মৃতিসৌধের উদ্বোধনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ছোটবেলার বন্ধু সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে সাক্ষাত হয় তাঁর। যেই ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।তখনই বোঝা যাচ্ছিল কাম্বলির শারীরিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়।