শুভব্রত মুখার্জি:- পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাদের সমর্থকদের যে বরবাবরের অম্লমধুর সম্পর্ক তা দীর্ঘদিনের। ইনজামাম উল হকের সময় থেকে শুরু করে হালফিলের শাহিন শাহ আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ- এই সংস্কৃতি একেবারেই বদলায়নি। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ইতিমধ্যেই ছিটকে গিয়েছে পাকিস্তান দল। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদেরকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একটা হতাশা রয়েছে সমর্থকদের মধ্যে।
ক্রিকেটারদের প্রতি তারা সেই ক্ষোভ যেমন সোশ্যাল মিডিয়াতে উগড়ে দেন তেমন সামনে পেলেও দেখান রাগ। সেই পরিস্থিতি থেকেই শুরু হয় এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার। যেখানে পাকিস্তানের তারকা পেসার হ্যারিস রউফকে দেখা যায় ভক্তের উপর মেজাজ হারিয়ে তাঁকে মারতে উদ্যত হন। ঘটনার ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর তার পরেই বিষয়টি নিয়ে নিজের সাফাই দিয়েছেন হ্যারিস রউফ। পাশাপাশি দরকার পড়লে এই ঘটনা যে তিনি ফের ঘটাবেন তাও নিশ্চিত করে দিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে সাফাই দিয়েছেন হ্যারিস রউফ। তিনি জানিয়েছেন, 'আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে ঘটনাটি যখন সবার সামনে সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে দিয়ে চলেই এসেছে। ঘটনার ভিডিয়ো যখন বাইরে এসেই গিয়েছে, আমি মনে করি এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলার সময় এসেছে। আমরা যেহেতু পাবলিক ফিগার (ব্যক্তিত্ব) তাই জনগনের থেকে সবধরনের ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য আমাদেরকে তৈরি থাকতে হয়। তাদের পূর্ণ অধিকার রয়েছে আমাদের সমালোচনা করার। তবে আমার পরিবার, আমার বাবা-মা'কে নিয়ে যদি কেউ কটুক্তি করে আমি জবাব দিতে এক মুহুর্তও ভাবব না। একজন ব্যক্তি, তার পরিবারের উপর সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা জানানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে যেই প্রফেশনেই থাকুক না কেন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।'
গত ওডিআই বিশ্বকাপেও পাকিস্তান ভারতে খেলতে এসে খারাপ পারফরম্যান্স করেছিল। গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছিল। এবারেও টি-২০ বিশ্বকাপে এক ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। এরপরেই পাক ক্রিকেটের ভক্তরা একেবারে ধুয়ে দিচ্ছেন দলের ক্রিকেটারদের।
সেই ঘটনার বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছে হ্যারিস রউফের ক্ষেত্রে। টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ-এ'তে ছিল পাকিস্তান দল। যেখানে তারা আমেরিকাতে যে হোটেলে ছিল হ্যারিস রউফের ঘটনা সেই হোটেলের বাইরে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভিডিয়োতে দেখা যায় হ্যারিস রউফ সম্ভবত তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। এক ভক্ত উল্টোদিক থেকে তাঁকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বলার পরে তিনি তাকে কার্যত তেড়ে যান। তেড়ে যাওয়ার সময়ে তাঁর পায়ের চটিও খুলে যায়। তাঁর স্ত্রী, আরো বেশ কয়েকজন তাঁকে প্রাণপণ বিরত করার চেষ্টা করছিলেন। তবে ওই কটাক্ষকারী ব্যক্তিকে মারতে তিনি যেন জেদ ধরে বসেছিলেন। যদিও পরবর্তীতে কোন অনভিপ্রেত ঘটনা আটকানো গিয়েছে।