সিরজ জয় আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে নিয়মরক্ষার পঞ্চম টি-২০ ম্যাচে পাকিস্তান কিউয়ি শিবিরে প্রত্যাঘাত করতে পারে কিনা, সেটাই ছিল দেখার। তবে পালটা লড়াই চালানো তো দূরের কথা, ওয়েলিংটনের শেষ টি-২০ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে গোহারান হারল পাকিস্তান।
স্কাই স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। তবে ম্য়াচের শুরু থেকে যেভাবে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান, তাতে মনে হচ্ছিল বুঝি পিচে ব্যাট করে নিতান্ত কঠিন। আসলে তেমনটা যে মোটেও নয়, বোঝা যায় কিউয়িরা পালটা ব্যাট করতে নামলে।
পাক দলনায়ক সলমন আঘা ব্যাট হাতে একা লড়াই চালান। অধিনায়কোচিত দৃঢ়তায় হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। বাকিরা কেউই ক্যাপ্টেনকে যথাযথ সঙ্গত করতে পারেননি। ফলে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১২৮ রানে আটকে যায়।
লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি সলমন আঘার
সলমন আঘা ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ বলে ৫১ রান করে আউট হন। ২০ বলে ২৮ রান করেন শাদব খান। তিনি ৫টি চার মারেন। এছাড়া ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ বলে ১১ রান করেন মহম্মদ হ্যারিস। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি।
কেরিয়ারের সেরা বোলিং জেমস নিশামের
নিউজিল্যান্ডের জিমি নিশাম ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে ৫টি উইকেট দখল করেন। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে টি-২০ কেরিয়ারে এই প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন নিশাম। অর্থাৎ, এটি তাঁর টি-২০ কেরিয়ারের সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স। এছাড়া ১৮ রানে ২টি উইকেট নেন জেকব ডাফি।
১০ ওভারেই ম্যাচ জয় নিউজিল্যান্ডের
পালটা ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরু থেকেই ঝড় তোলে। তারা পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৯২ রান তুলে ফেলে। শেষমেশ ১০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৩১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় নিউজিল্যান্ড। অর্থাৎ, ৬০ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় কিউয়িরা। সেই সুবাদে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে পকেটে পোরে তারা।
সেঞ্চুরি হাতছাড়া টিম সেফার্তের
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দলের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি কিউয়ি ওপেনার টিম সেফার্তের। তিনি ৯৭ রানে নট-আউট থেকে যান। ৩৮ বলের ধুমধাড়াক্কা ইনিংসে সেফার্ত ৬টি চার ও ১০টি ছক্কা মারেন। অর্থাৎ কিনা, পাকিস্তান খারাপ ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান তুলতে পারেনি বলেই সেঞ্চুরি করা হয়নি সেফার্তের। নাহলে নিউজিল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড বাঁধা ছিল তাঁর।
এছাড়া এই ম্যাচে ফিন অ্যালেন করেন ১২ বলে ২৭ রান। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। পাকিস্তানের হয়ে ২ ওভারে ৬ রান খরচ করে ২টি উইকেটই তুলে নেন সুফিয়ান মুকিম। ৫ উইকেট নেওয়ার সুবাদে ম্যাচের সেরা হন নিশাম। ৫ ম্যাচে সাকুল্যে ২৪৯ রান সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন টিম সেফার্ত।