বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে বুধবার। বেতন না দেওয়ার অভিযোগ তোলে রাজশাহী দুর্বার দলের ক্রিকেটাররা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে বেতন মেটানোর ঘোষণা করলেন রাজশাহীর অপারেশন ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ। বুধবার গভীর রাতে এক ভিডিয়ো বিবৃতিতে তিনি বলেছেন যে তারা বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ করা হবে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের একজন খেলোয়াড়ের মোট অর্থের ৫০% টুর্নামেন্ট শুরুর আগে, ২৫% টুর্নামেন্ট চলাকালীন এবং বাকি ২৫% টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরে দেওয়ার কথা। রাজশাহী অবশ্য ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের দুই সপ্তাহের মধ্যেও স্থানীয় খেলোয়াড়দের তাদের প্রথম কিস্তি পরিশোধ করেনি।
বৃহস্পতিবারই পরিশোধ করা হবে বকেয়া:
খেলোয়াড়দের বিক্ষোভের পর বিসিবি প্রধান ফারুক বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজশাহীর মালিক শফিক রহমান, অধিনায়ক আনামুল হক সহ অন্যান্য ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। এরপরের জায়েদ আহমেদ জানান, ‘১৬ জানুয়ারির মধ্যে সব বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। আমরা সময় মতো টাকা না দিতে পারার জন্য দুঃখিত। বিষয়টা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। এমনটা হওয়া উচিত ছিল না। ম্যানেজমেন্ট ঠিক করেছে যে ২৫ শতাংশ টাকা নগদে, বাকি ২৫ শতাংশ চেকে দেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দলের কর্ণধার বিসিবি সভাপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। আমি নিজে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। সদর্থক কথাবার্তা হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছেন। আমরাও ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছি।’
চেক বাউন্স নিয়ে সাফাই রাজশাহীর:
চেক বাউন্স নিয়ে সাফাই দিয়েছেন রাজশাহীর অপারেশন ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন কর্ণধারের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারায় ব্যাঙ্কে কিছু চেক বাউন্স হয়। জায়েদ বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চই মনে থাকবে যেদিন আমাদের মালিকের স্ত্রী মাঠে গিয়েছিলেন, তিনি একটি বলের আঘাতে আঘাত পেয়েছিলেন। তাঁর একটি ফ্র্যাকচার হয়েছিল। এই কারণে ওঁকে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের মালিক তাঁর সঙ্গে ছিলেন। আমরা আগেই প্লেয়ারদের চেক দিয়েছিলাম। এই কারণে কর্ণাধার আমাকে খেলোয়াড়দের জানাতে বলেছিলেন যে যাতে কেউ এখন চেক জমা না দেন।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি ক্রিকেটারদের জানিয়ে দিয়েছিলাম, তবে দু’একজন সেটা ভুলে গিয়ে চেক ব্যাঙ্কে জমা করান।’