দুই সিনিয়র তারকাই আপাতত জাতীয় দলের বাইরে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির আগে দুই অভিজ্ঞ তারকাকেই ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে দেখতে চেয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শেষমেশ অস্ট্রেলিয়া সফরে শিকে ছেঁড়েনি চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানের।
পূজারা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে মাঠে নামেননি। তবে রঞ্জি ট্রফিতে ফর্মে ছিলেন। এবারের রঞ্জিতে একটি ডাবল সেঞ্চুরিও করেন চেতেশ্বর। রাহানে সেই অর্থে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে নয়, তবে সীমিত ওভারের ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দেন।
গুরুত্বপূর্ণ ইংল্যান্ড সফরের টেস্ট সিরিজের জন্য জাতীয় নির্বাচকরা যখন দল গড়ে নিতে বসবেন, নিশ্চিতভাবেই তাঁদের মাথায় থাকবে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির ব্যর্থতার বিষয়টি। তাই অভিজ্ঞ পূজারাদের টেস্ট স্কোয়াডে ফেরার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তবে জাতীয় নির্বাচকদের খাতায় নিজেদের নাম ভাসিয়ে রাখতে হলে যে ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে হবে, সেটা ভালোভাবেই বোঝেন রাহানেরা। সেই তাগিদ থেকেই রঞ্জি ট্রফির চলতি রাউন্ডে দুর্দান্ত ব্যাট করেন টিম ইন্ডিয়ার কক্ষপথ থেকে ছিটকে যাওয়া দুই সিনিয়র ক্রিকেটার রাহানে ও পূজারা। তবে অক্ষেপের বিষয় এই যে, দু'জনেই ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া করেন নিতান্ত অল্পের জন্য। দুই তারকাই নার্ভাস নাইন্টির শিকার হন।
৯৯ রানে আউট চেতেশ্বর পূজারা
রাজকোটে অসমের বিরুদ্ধে রঞ্জির এলিট ডি-গ্রুপের ম্যাচে মাঠে নামে সৌরাষ্ট্র। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় হোমটিম। সৌরাষ্ট্র প্রথম দিনে ৯০ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেটে ৩৬১ রান তুলে ফেলে। প্রথম দিনে ব্যক্তিগত ৯৫ রানে নট-আউট ছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে চেতেশ্বর আউট হয়ে বসেন ব্যক্তিগত ৯৯ রানে। অর্থাৎ, মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় তাঁর। পূজারা ১৬৭ বলের ইনিংসে ১০টি চার মারেন।
শতরান হাতছাড়া অজিঙ্কা রাহানের
অন্যদিকে বিকেসি-র শরদ পাওয়ার ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে রঞ্জির এলিট এ-গ্রুপের ম্যাচে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামে মুম্বই। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মেঘালয়। তারা প্রথম দিনেই নিজেদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ৮৬ রানে।
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই প্রথম দিনের খেলা শেষ করে তাদের প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটের বিনিময়ে ২১৩ রান তুলে। ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহানে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে রাহানে আউট হন ব্যক্তিগত ৯৬ রানে। অর্থাৎ, ৪ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় তাঁর। রাহানে ১৭৭ বলের ইনিংসে ১১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।