নভদীপ সাইনি ছাড়া দিল্লির বর্তমান কোনও ক্রিকেটারই বিরাট কোহলির সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়ার সৌভাগ্য পাননি। ক্যাপ্টেন আয়ুষ বাদোনি, যিনি আইপিএলের সময় কোহলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, তার জন্য এটি ছিল স্বপ্নপূরণের মতো। ২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফিরলেন ‘কিং কোহলি’।
দিল্লি বনাম রেলওয়েজের রঞ্জি ট্রফি গ্রুপ ডি ম্যাচের আগে, কোটলা পরিণত হয়েছিল কোহলির এক উৎসবে। রঞ্জি ট্রফির ম্যাচগুলোতে সাধারণত খুব বেশি দর্শক থাকে না। তবে মঙ্গলবারের অনুশীলন সেশন দেখে অনুমান করা যায়, দুই দিনের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে চলেছে। ফর্মে থাকুন বা না থাকুন, কোহলি এখনও ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার। পুরো দিল্লি শিবির জুড়ে ছিল বিরাট কোহলির অনুশীলন নিয়ে বেশ উত্তেজনা। যা তরুণ ক্রিকেটারদের তারকা-মুগ্ধতার স্পষ্ট প্রমাণ।
আরও পড়ুন… ফের ICC মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল অস্ট্রেলিয়া, অ্যালিসা হিলির নজর এখন বিশ্বকাপের দিকে
কী বললেন বিরাট কোহলি-
বিরাট কোহলি সতীর্থদের বলেন, ‘দিল্লিওয়ালে হও, দম দেখাও। শুরুটা ভালো করেছ, কিন্তু পরে গা ছেড়ে দিয়েছ। ইতিবাচকভাবে খেলো, দিল্লির ক্রিকেটারদের মতো!’ এই মরশুমে দিল্লি ছয় ম্যাচে মাত্র ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে অবস্থান করছে। তাদের নকআউট পর্বে ওঠার কোনও সুযোগ নেই, তবে কোহলির প্রত্যাবর্তন তাদের মর্যাদা রক্ষার বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে।
১২ বছর পর দিল্লির সঙ্গে প্রথম অনুশীলনে কোহলির পারফরম্যান্স কেমন ছিল? সনৎ সাঙ্গওয়ান, অর্জিত রানা ও সিদ্ধান্ত শর্মাদের জন্য এটি ছিল স্মরণীয় এক মুহূর্ত, তবে কোহলির জন্য এটি ছিল আরেকটি সাধারণ দিন। তিনি যেন তার তারকাখ্যাতি মাঠের বাইরে রেখেই এসেছিলেন, দেখাচ্ছিল যেন তিনি তাদেরই ‘বিরাট ভাইয়া’।
অনুশীলনে কী করলেন বিরাট কোহলি-
১) ৩৫ মিনিটের ওয়ার্ম-আপ সেশন ছিল এই মরশুমে দিল্লির দলের সবচেয়ে দীর্ঘ ওয়ার্ম-আপ।
২) ১৫ মিনিটের ফুটবল খেলা আর কিছু দ্রুত দৌড়ের অনুশীলন করলেন কোহলি, সঙ্গে ছিল হাসিঠাট্টাও।
৩) কিন্তু একবার নেট সেশন শুরু হতেই বদলে গেল তার অভিব্যক্তি—পুরোপুরি সিরিয়াস।
৪) বিরাট কোহলি চুপচাপ নেটে গেলেন, যেখানে দিল্লির অধিনায়ক আয়ুষ বাদোনি ব্যাটিং করছিলেন।
৫) কোহলিকে কাছে আসতে দেখে বাদোনি কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়লে কোহলি বললেন, ‘আয়ুষ, তুই ব্যাটিং চালিয়ে যা, তারপর দুজন মিলে বদল করে খেলবো।’
৬) বিরাট কোহলি প্রায় এক ঘণ্টা নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেন। প্রথমে থ্রো-ডাউনে পুল শট খেলার অনুশীলন করেন। এরপর তিনি স্পিনারদের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে পড়েন। বাঁহাতি স্পিনার হর্ষ ত্যাগী ও সুমিত মাথুর কিছু বল ঘোরাতে সক্ষম হলেও কোহলির ব্যাটিংয়ে কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। নভদীপ সাইনি, মনি গ্রেওয়াল, রাহুল গেহলট ও সিদ্ধান্ত শর্মার পেস আক্রমণও তাকে খুব বেশি সমস্যায় ফেলতে পারেনি। ভারতীয় দলের নেট সেশনের মতো কঠিন না হলেও তিনি বেশ কিছু বল ছেড়ে খেলার অনুশীলন করেন।