তিনি রাজ্যের মন্ত্রী। সংখ্যালঘুদের মুখও বটে। সদ্য বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। তবে এবার তিনি দেশের বাইরে পা রাখলেন। তাও আবার সরাসরি তুরস্কে। কারণ এখানে ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন মানুষজন। আর তাঁদের হাতে সাহায্য তুলে দিতে চান তিনি। তাই দুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ নিয়ে তুরস্কে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এমন ঘটনা আগে দেখা না গেলেও এবার তা তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
কেমন করে সাহায্যের হাত বাড়ালেন? রাজ্য জমিয়তের পক্ষ থেকে আগে নয়াদিল্লির তুরস্ক দূতাবাসের মাধ্যমে ভূমিকম্পের জেরে দুর্গত মানুষের জন্য আর্থিক সাহায্য পাঠানো হয়েছিল। আর তুরস্কের ঠান্ডার কথা মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট টাকায় দুর্গতদের জন্য ভাল তাঁবু কেনার কথা বলেছেন জমিয়তে নেতৃত্ব। এখানেই শেষ নয়, এরপরে সে দেশে পৌঁছে বেশ কয়েকটি শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সঙ্গে সরাসরি দেখা করেছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
কী কী সাহায্য করা হয়েছে? একদিকে কয়েক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আবার অন্যদিকে খাদ্য ও বস্ত্র সামগ্রীও তুলে দেওয়া হবে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর কথা অনুযায়ী, কলকাতায় রাজ্য জমিয়তে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার বস্ত্রসামগ্রী প্যাক করার কাজ চলছে। সেটা সম্পূর্ণ হলে ওই সামগ্রীও তুরস্কে দুর্গত মানুষজনের কাছে পৌঁছে যাবে। মানুষ হিসাবে মানুষের পাশে এভাবেই দাঁড়ানো মূল উদ্দেশ্য। এখানে পৌঁছে একটি ভিডিয়ো বার্তা তিনি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে।
ঠিক কী বলছেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা? অর্থ–বস্ত্র সাহায্যের পাশাপাশি শুকনো খাবার, চকোলেট–সহ একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে তাঁর বার্তা, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে পীড়িত মানুষের জন্য ত্রাণ পৌঁছে দিতে তুরস্কে আসার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে নিয়ম অনুযায়ী আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মতি নিয়েছি। এখানে এসে অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি ওবাকানে একটি শিবিরে গিয়েছিলাম। যেখানে মূলত আফগানদের বাস। সেখানে গিয়ে দেখলাম, তাঁদের কাছে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর নাম খুবই পরিচিত।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup