সেন্ট্রাল পার্কের কাছে সুইমিং পুলের কাছে গিয়ে কীভাবে আন্দোলন করব? আমরা তো স্কুলে ফিরতে চাইছি। দাবি এক চাকরিহারা শিক্ষিকার। তাঁদের দাবি, চুরি করলেন ওরা, তার দায় আমরা নেব কেন? আমরা ভুগব কেন? নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির জেরে ২০১৬ সালের গোটা প্য়ানেলটাই বাতিল হয়ে যাওয়াতে চাকরি গিয়েছে তাঁদের।প্রচন্ড গরম। এই সময়টাতে প্রতিবছর গরমের ছুটিতে বাড়িতে থাকতেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিন্তু দুর্নীতির জেরে গোটা ছবিটাই বদলে গিয়েছে। দিনের পর দিন ধরে তাঁরা বসে রয়েছেন বিকাশ ভবনের সামনে। কারোর বাড়িতে অপেক্ষায় রয়েছে সন্তান। কারোর বাড়িতে অসুস্থ বাবা মা। চাকরি ফেরানোর দাবিতে তাঁরা এই ধর্নায় বসেছেন।তবে এবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল পার্কের সামনে অবস্থান করতে পারেন। সুইমিং পুলের দিকে এই অবস্থান করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, ‘সম্ভব হলে প্রশাসন অস্থায়ী তাঁবু টাঙিয়ে দেবে। বায়ো টয়লেট, পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেবে। আর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে যে শোকজ নোটিস জারি করা হয়েছে সেটাও কার্যকর করা যাবে না।’বিচারপতি জানিয়েছেন, ‘আপনারা ওখানে ১৫–১৬ দিন আন্দোলন করছেন। আপনাদের প্রতি আমি সমব্যথী। কিন্তু আমাকে তো সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। ’বিচারপতি জানিয়েছেন, আপনাদের কর্মসূচি নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। সাধারণ মানুষের জন্য় আমাদের চিন্তা। ১৫-১৬ দিন করছেন তো করে যান। রাস্তার উল্টোদিকে সেন্ট্রাল পার্কের দিকে করুন।এদিকে হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরে স্বাভাবিকভাবেই বিকাশ ভবনের সামনে থেকে সরে যেতে হবে আন্দোলনকারীদের। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে আরও সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের একাংশের দাবি, আমরা কেন আজ এখানে এলাম সেই আসল জায়গাটি তো কেউ বলছেন না। অন্য়ের দুর্নীতির জন্য কেন আমাদের ভুগতে হবে?সেই সঙ্গেই অপর চাকরিহারা জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল পার্কে সুইমিং পুলের কাছে গিয়ে কীভাবে আন্দোলন করব? আমরা তো স্কুলে ফিরতে চাইছি। আমরা তো বেড়াতে যাচ্ছি না।কার্যত মারাত্মক বিভ্রান্তির মধ্য়ে পড়ে গিয়েছেন চাকরিহার শিক্ষক শিক্ষিকারা। চাকরিহারা শিক্ষকরা নানাভাবে তাঁদের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে তাঁদের অবস্থানের জেরে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। সেকারণেই হাইকোর্টের নির্দেশ। এবার আন্দোলনকারী শিক্ষকরা শেষ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।