ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চরমে উঠতেই পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বিএসএফ। সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা, গোয়েন্দা বিভাগ-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের মাটি রক্ষা করতে একজোট হয়ে কাজ করছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি, দেশরক্ষা এবং আত্মরক্ষা - এই দুই উদ্দেশ্য সাধন করতেই প্রতিরক্ষাবাহিনীগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সীমান্ত এলাকাগুলিতে স্বেচ্ছায় রাতপাহারায় নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে এমনই একটি গ্রামের 'কাহিনি'। মালদা জেলার এই গ্রাম অবস্থিত রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গা ঘেঁষে। গত কয়েক দিনের ঘটনা পরম্পরার জেরে এই এলাকাতেও বিএসএসএফ-এর নজরদারি বেড়েছে। এলাকায় রয়েছে নদীপথ। যা কাঁটাতারের বেড়ায় আটকানো সম্ভব নয়। পাশাপাশি, কিছু অংশ কাঁটাতারবিহীন অবস্থাতেও পড়ে রয়েছে।এইসব জায়গা দিয়ে যাতে বাংলাদেশ হয়ে জঙ্গি, পাচারকারী, অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকে কোনওরকম অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে এবং বিএসএফ-এর পাশে থাকতে রাতপাহারা দিচ্ছেন গ্রামের সাধারণ বাসিন্দারা। সেই দলে যেমন অল্পবয়সীরা রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন দিনভর ঘরকন্নার কাজে ব্যস্ত থাকতে অভ্যস্থ বাড়ির মহিলারাও।রাতপাহারার অস্ত্র হিসাবে এঁরা হাতে তুলে নিয়েছেন একেবারে ঘরোয়া কিছু সামগ্রী। যেমন - কাস্তে, বঁটি, শাবল, কাটারি, বাঁশ প্রভৃতি। এসব 'অস্ত্র' নিরপরাধ কাউকে আঘাত করার জন্য নয়। কিন্তু, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত যে কতটা সংবেদনশীল, তা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে না খেটে খাওয়া সাধারণ গ্রামবাসীরও। আর সেই কারণেই মালদার সংশ্লিষ্ট গ্রামের বাসিন্দারাও নিজেদের মতো দেশপাহারার কাজে সামিল হয়েছেন। স্বেচ্ছায় পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর।