পাকিস্তানি নাগরিকদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানো হবে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন শান্তনু। সেখানেই তিনি বলেন, 'পাকিস্তানের মৌলবাদীরা ভারতে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা তা হতে দেব না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টি ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারত সরকার পাকিস্তানের সাথে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে। আগামীতে আরও পরিষেবা বন্ধ হবে। পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশে ফেরার কথা বলা হয়েছে।' (আরও পড়ুন: চেয়েছিলেন ১০ কোটি, ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়লেন হাতেনাতে, গ্রেফতার বিধায়ক)
আরও পড়ুন: পহেলগাঁওতে স্বামী হারানো হিমাংশীর JNU-যোগ নিয়ে কটাক্ষ সোশ্যাল মিডিয়ায়, NCW বলল…
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ভারত নিয়ে বৈঠক ইসলামাবাদে, ওদিকে LoC-তে পাক সেনা পেল যোগ্য জবাব
শান্তনু বলেন, 'ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করে পঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। ভারত সরকার পাঁচ লক্ষ পাকিস্তানি নাগরিকদের চিহ্নিত করেছে। আগামী দিনে কি হতে চলেছে পাকিস্তান ভালোই টের পেয়ে যাবে।' এদিকে সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারা ভারতকে পারমাণবিক বোমার হুমকি দিচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'পারমাণবিক শক্তি আমাদের কাছেও আছে। ওদের মিসাইল বন্দুক আর বোমায় ড্যাম্প পড়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের চুক্তি অনুসারে পাকিস্তানের পরমাণবিক শক্তি ব্যবহার করার কোনও নির্দেশিকা নেই।' (আরও পড়ুন: ভারতের নৌমহড়ায় আতঙ্কে পাক? মনোবল বাড়াতে এগিয়ে এল 'বন্ধু', পাঠাল রণতরী)
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের লাগবে 'শক', ভারতের হবে লাভ! সিন্ধু নিয়ে নয়া পরিকল্পনা মোদী সরকারের
আরও পড়ুন: ভারতের নাম নিয়ে কান্নাকাটির পরিকল্পনা পাকিস্তানের? UNSC-র রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজ
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার আবহে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি আগেই স্থগিত করেছিল ভারত। এরই সঙ্গে ভারতে থাকা সকল পাকিস্তানিকে দেশে ফেরত যেতে বলে মোদী সরকার। বাতিল করা হয়েছিল পাকিস্তানিদের ভিসা। নতুন করে এখন আর কোনও ভিসা দেওয়া হবে না। আটারি সীমান্তও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আকাশপথও ব্যবহার করতে পারবে না পাকিস্তান। এই সবের মাঝেই আবার সম্প্রতি চন্দননগর থেকে গ্রেফতার করা হয় এক পাকিস্তানের নাগরিককে। ধৃতের নাম ফতেমা বিবি। প্রায় সাড়ে ৪ দশক আগে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে ভারতে আসেন তিনি। ১৯৮০ সালে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাবার সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন ফতেমা বিবি। ১৯৮২ সালে চন্দননগরে মুজফফর মল্লিকের সঙ্গে বিয়ে হয় ফতেমার। তারপর তাঁদের দুটি কন্যাসন্তান হয়। এখন তাঁরাও বিবাহিত। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের খাতায় ফতেমা বিবি নিখোঁজ ছিলেন ভিসা নিয়ে আসার এক বছর পর থেকেই। তবে বর্তমানে আবার চন্দননগর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার এই পাকিস্তানি নাগরিক। এই নিয়ে জোর চর্চা বাংলা জুড়ে।