অনুব্রত মণ্ডল জেলা সভাপতির পদ থেকে সরতেই বীরভূমে চরমে পৌঁছেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ। আর পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে নিজের দলের নেতাকর্মীদের একাংশকেই রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তৃণমূলে ভাঙন ধরানোর অভিযোগ করলেন তিনি। সোমবার সিউড়িতে দলীয় সভায় এই মন্তব্য করেন তৃণমূলের বীরভূম ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম। তাঁর এই বক্তব্যকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে তৃণমূলের অন্দরে।
সোমবার সিউড়িতে এক দলীয় সভায় বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বোলপুরের বোঝা উচিত। রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব। ফ্লাঙ্কেন্টাইন করে দেব। তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষতি হতে দেব না।’
তাঁর দাবি, ‘বোলপুর থেকে নির্দেশ পাঠিয়ে। আমাদের কিছু কর্মীদের ভয় দেখিয়ে, লোভ দেখিয়ে নানা ভাবে প্রভাবিত করে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের জবরদস্ত সংগঠনটাকে ভেঙে তছনছ করার যে অপচেষ্টা চালিয়েছে আমরা তৈরি আছি তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। কেউ কেউ নিজের মাতব্বরি বাড়ানোর জন্য আমাকে জেলা পরিষদের সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি মানিনি। উন্নয়নের কাজ যখন জোর কদমে চলছে আমি কেন তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে যাব? এবার কেউ যদি মনে করে, আমি বড় নেতা আমি জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করব। এটা করতে দেব না।’
বলে রাখি, নুরুল ইসলাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের অনুগামী বলে পরিচিত। কাজল শেখ এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, ‘নুরুল সাহেব আমার অভিভাবকের মতো। আমার অনেক আগে থেকে উনি রাজনীতি করছেন। দলের কেউ ক্ষতি করার চেষ্টা করায় উনি একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।’