বর্ষাকাল এখনও আসেনি। তবে বর্ষা এলে প্রত্যেক বছর যে ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই এলাকার বাসিন্দাদের এবং পর্যটকদের তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। কারণ ধস নামা থেকে শুরু করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঘটনা একানে ঘটে তাকে। আর তাই এবার বর্ষা আসার আগেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। তার জেরে এখন সিকিম এবং শিলিগুড়ির লাইফলাইনে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। তাই জাতীয় সড়কে পড়ছে লম্বা লাইন। গাড়ি এক ঘণ্টা পরপর ছাড়ছে। বড় গাড়ি থেকে শুরু করে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে। শুক্রবার–শনিবার শিলিগুড়ি, কালিম্পং এবং সিকিমে সড়ক যোগাযোগের ভরসা এখন ঘুরপথ।
এদিকে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে বাংলা–সিকিম লাইফলাইনে। শুক্রবার এবং শনিবার যান চলাচল ব্যাহত হবে। তার জেরে আজ থেকেই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। পর্যটকরাও আটকে পড়েছেন বলে খবর মিলেছে। বর্ষায় এখানে বারবার ধস নেমেছে। বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতি যাতে আর তৈরি না হয় সেই জন্যই আগাম মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। টানা বৃষ্টির জেরে ধসে জেরবার বাংলা–সিকিম লাইফলাইন বারবার দেখা গিয়েছে। সামনেই বর্ষা বলে এখন থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সংস্কার করার জন্য শুক্রবার ও শনিবার বাংলা–সিকিম লাইফলাইনে ব্যাহত হচ্ছে গাড়ি চলাচল।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে পৌঁছে গেল রাজ্য পুলিশের সিট, সব খতিয়ে দেখছে ফরেনসিক টিম
অন্যদিকে ২০২৪ সালে বর্ষায় নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে ধসে জেরবার হয় বাংলা–সিকিম লাইফলাইন। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে একাধিকবার ধস নেমে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলে। বর্ষায় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে প্রায়ই বন্ধ রাখতে হয় যান চলাচল। তাই অতীতের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই জাতীয় সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করল ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। বড় গাড়ি এবং পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় কাজ হচ্ছে জোরকদমে। তবে পর্যটকদের গাড়ি, নিত্যযাত্রী নিয়ে যাওয়া ছোট গাড়ি এবং বাস চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া এই সংস্কারের কাজ করছে ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। আজ শুক্রবার এবং আগামীকাল শনিবার শিলিগুড়ির সঙ্গে কালিম্পং ও সিকিমের সড়ক যোগাযোগের ভরসা হয়ে উঠবে ঘুরপথ। ভিড় এড়ানো তাতে সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শিলিগুড়ির পর সেবক হয়ে গরুবাথানের পথ ধরে লাভা, আলগাড়া, ২১ মাইল হয়ে কালিম্পংয়ে যাওয়া যাবে। আর ২১ মাইল, ১৭ মাইল, রংপো হয়ে সিকিম যেতে পারবেন পর্যটকরা। এটা অনেকটাই ঘুরপথ বলছেন চালকরা।