জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় এসে পৌঁছয়। এই প্রতিনিধিদল আজ সকালে কলকাতা থেকে মালদার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল সেখানে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন টিমে রয়েছে বিজয়া কিশোর রাহাতকার। আর এই প্রতিনিধিদল প্রথমে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে গিয়ে কথা বলবেন আক্রান্ত ও ঘরছাড়া মহিলাদের সঙ্গে। আর এই কথা বলার উপর নির্ভর করেই তৈরি করা হবে রিপোর্ট। যা কেন্দ্রীয় সরকারকে দেবেন তাঁরা।
এদিকে আজ, শুক্রবার সকাল ১০টা ১০ নাগাদ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস করে মালদা টাউন স্টেশনে পৌঁছয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দুই সদস্যদের প্রতিনিধি দল। এখন সেখানে তাঁরা আপাতত সার্কিট হাউসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করেন। তারপর সেখান থেকে রওনা দেন বৈষ্ণবনগরের উদ্দেশে। সেখানে পারলালপুর হাইস্কুলে গিয়ে মুর্শিদাবাদের ঘটনা এবং তার জেরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই পারলালপুর হাইস্কুলে পৌঁছে কথা বলা শুরু করেছেন বলে খবর। নানা বিষয় নিয়ে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। সেখানে কারা হামলা করেছিল? কেন হামলা করেছিল? কেমন ক্ষতি হয়েছে? সব জানতে চাইছেন।
আরও পড়ুন: এক থালায় দুই বন্ধুর মিড–ডে মিল খাওয়া কেন? তদন্তের নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর
অন্যদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য—শরণার্থীদের সমস্যা, অভিযোগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনও ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটা প্রত্যক্ষভাবে জানার চেষ্টা করা। সেখানে তাঁরা রাজনীতি করছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ওয়াকফের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে হিংসার বাতাবরণ গড়ে ওঠে মুর্শিদাবাদে। হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তোলে বিজেপি। আর বিএসএফ বাংলাদেশ থেকে লোক ঢুকিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই হিংসার ঘটনা প্রত্যক্ষ করে ভয়ে অনেকেই ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। আর আশ্রয় নেন পাশের জেলা মালদায়। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা।
এছাড়া এই কথা বলা শেষ হলে প্রতিনিধিদল শিবির পরিদর্শন করবে। তার পর স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে। এরপর গোটা পরিস্থিতির উপর একটি রিপোর্ট তৈরি করে নয়াদিল্লির কাছে পাঠাবেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন। একদিন আগেই কয়েকজন ঘরছাড়াকে নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তখনই রাজ্যপাল ঠিক করেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবেন।