আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছেন। ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে মুর্শিদাবাদ যান তিনি। এই জেলাতেই ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে কদিন আগে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। তবে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আর তাই সেখানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অশান্তির বিরুদ্ধে বলে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন। তিনদিনের মুর্শিদাবাদ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় মানুষের উপর জোর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের অশান্তি এবং হিংসা করা হয়েছে পরিকল্পনা করে বলে সর্বসমক্ষে জানিয়ে দেন। আগামীকাল মঙ্গলবার সামশেরগঞ্জ এবং ধুলিয়ানায় যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর অধীর চৌধুরী বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের ওই সভায় হাজির করাতে না পারলে মুখ্যমন্ত্রীর ইজ্জত থাকবে না। তাই যারা সবকিছু হারিয়ে সর্বসান্ত, তাদের ওপর নতুন করে পুলিশ জুলুম করছে। ওই সভায় যাওয়ার জন্য প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ চাপ দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ‘বাংলাভাষী শ্রমিকদের অত্যাচার করা হয়েছে’, বিজেপি রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ মমতার
মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছেন। আর ক্ষতিপূরণও দিতে চান। সকলের পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর ভিনরাজ্যে অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে। মারধর, হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেওয়া, পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। সেখানে কংগ্রেস নেতা অধীরের বক্তব্য, ‘মরেও শান্তি নেই বাংলায়। একজন পরিবারের স্বামী এবং সন্তান খুন হল। শ্রাদ্ধ করার জন্য পুরোহিত পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে পুলিশ বাড়ির লোককে জোরজবরদস্তি করছে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় নিয়ে যাওয়ার জন্য।’
তাছাড়া অনেক তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এসেছে। আর কিছু আসা বাকি আছে। সেইসব তথ্যপ্রমাণ হাতে এলেই তা সংবাদমাধ্যমের সামনে নিয়ে আসবেন বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদের হিংসা যে পরিকল্পিত তাও বলেছেন তিনি। তবে অধীরের কথায়, ‘আপনার পার্টি, আপনার সরকারের জন্য ওরা সব হারিয়ে আজ সর্বসান্ত। ওরা কী চাইতে আপনার কাছে যাবে? বরং আপনারই তো উচিত ছিল, ওদের বাড়িতে গিয়ে হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়া। দেখাচ্ছে কত কড়া প্রশাসন। তাই সফরের আগে দুটো সাধারণ অফিসারকে বসিয়ে দেওয়া হল। এসপি কোথায় ছিল? শীর্ষ অফিসাররা কোথায় ছিল? দুটো এএসআইকে কেন বসালেন? অপরাধ তাঁরা করছে? অপরাধ করেছে আপনার পার্টির নেতারা। পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিল। তাই ৫ মিনিটের পথ পুলিশ পৌঁছয় ৫ ঘণ্টা পরে।’