এসএসসি নিয়োগ ঘিরে সদ্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারারা ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে সরব। চাকরি গিয়েছে বহু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। ফলে স্কুলে স্কুলে শিক্ষক সংকট দেখা দিচ্ছে। এরই মাঝে পার্শ্বশিক্ষকদের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে সোম থেকে শুক্রবারের মাঝে চারদিন তাঁরা ক্লাস বয়কট করবেন। তাঁদের দাবি, বেতন বৃদ্ধির।
বেতন বৃদ্ধি না হলে, অতিরিক্ত কাজ করা হবে না, এমনই দাবি জানিয়ে আগামী সপ্তাহে সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ক্লাস বয়কটের ডাক দিয়েছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। ফলে আসন্ন সপ্তাহে সোম, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শুক্র এই চার দিন ক্লাস করবেন না পার্শ্বশিক্ষকরা। এমনই তথ্য উঠে এসেছে ‘আনন্দবাজার ডট কম’র খবরে। পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের তরফে এই ডাক দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের তরফে মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, বর্তমানে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় অতিরিক্ত সব কাজ তাঁদেরই করতে হচ্ছে। ভগীরথ ঘোষ আরও বলেন,' ২০১৮ সালে যৎসামান্য টাকা বৃদ্ধির পর আর আমাদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না সরকার। তাই মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই আমরা কর্মবিরতির পথে।' পার্শ্বশিক্ষকদের ওই সংগঠনের দাবি, এমনিতেই স্কুলে রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষকের অভাব। তারই মাঝে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি হয়েছে বাতিল। ফলে স্কুলে কাজের চাপ বাড়তে শুরু করেছে পার্শ্বশিক্ষকদের উপর। ওই রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, বর্তমানে রাজ্যে ৪২ হাজার পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন। শেষবার তাঁদের বেতন ২০১৮ সালে বৃদ্ধি করা হয়। তারপর থেকে প্রত্যেক বছরে ৩ শতাংশ করে বেতন বৃদ্ধি হয় তাঁদের। তবে এরপরও প্রাথমিকে মাত্র ১০ হাজার টাকা ও উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষকরা পান ১৩ হাজার টাকা বেতন। এর আগেও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ক্লাস বয়কট করেছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। আর তা করেছিলেন এপ্রিলেই। চলতি মাসের, ৭,৮,৯ তারিখে তাঁরা ক্লাস বয়কট করেন।
সেই ক্লাস বয়কট করার পরও সরকার তাঁদের দাবিতে, কান দেয়নি বলে দাবি পার্শ্বশিক্ষক। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা ফের বেতন বৃদ্ধির দাবিকে সরব হয়েছেন। আগামী সপ্তাহেই রয়েছে তাঁদের এই ক্লাস বয়কটের ডাক।