একেই দলের বেহাল দশা। দশ ওভারের মধ্যেই ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছে। সেই অবস্থায় ক্ষমাহীন অপরাধ করে বসলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের তিন তারকা। ১২, ১৩ এবং ১৫তম ওভারের তিনটে রানআউটই লখনউয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয়। এই তিনটে রানআউটে কমন ফ্যাক্টর কিন্তু দীপক হুডা।
২০২৩ আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লখনউ সুপার জায়ান্টস যখন একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিল, তখনই নিজেদের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মার্কাস স্টোইনিস, কৃষ্ণাপ্পা গৌতম এবং দীপক হুডা।
লখনউ এ দিন মাত্র চতুর্থ ওভারে তাদের দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসেছিল। সেই সময়ে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মার্কাস স্টোনিস লখনউয়ের হাল ধরেন। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার চিপকে বেশ কিছু চার-ছক্কা হাঁকিয়ে লখনউকে একটি শক্তিশালী জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
এর মাঝেই নবম ওভারে ক্রুনাল পাণ্ডিয়া আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এবং তার পর দশম ওভারে আয়ুশ বাদোনি এবং নিকোলাস পুরানকে পরপর ফেরান আকাশ মাধওয়াল। তবে স্টোইনিস লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ড আকাশের, ভাঙলেন ১৪ বছর আগের কুম্বলের নজিরও
কিন্তু ১২তম ওভারে ম্যাচ পুরো মুম্বইয়ের হাতের মুঠোয় চলে আসে। তাও লখনউয়ের তারকাদের ভুলে। ক্যামেরন গ্রিনের পঞ্চম বলে ডিপ মিড উইকেটের দিকে শট খেলে নন-স্ট্রাইক এন্ডে থাকা দীপক হুডাকে রানের জন্য কল দেন স্টোইনিস। প্রথম রান ভালো ভাবেই পূরণ করেন স্টোইনিস এবং হুডা। তবে দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময়ে উভয় ব্যাটসম্যানের মনোযোগ ফিল্ডারের দিকে ছিল এবং সেই কারণে ক্রিজের মাঝপথে হুডা এবং স্টোইনিস একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খান। থমকে যান স্টোইনিস। এর মাঝেই টিম ডেভিড বল সংগ্রহ করে উইকেটরক্ষক ইশান কিষাণের দিকে ছুঁড়ে দেন। ইশান স্টাম্প ভাঙার জন্য যথেষ্ট সময় পান। স্টোইনিস ২৭ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরে।
আরও পড়ুন: ভারতীয়দের মধ্যে IPL-এর ৫০ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান, সচিনের রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিলেন রুতুরাজ
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।