কিছু রাজনৈতিক জটিলতার পর অবশেষে কার্যকর হতে চলেছে ভারত-আমেরিকার প্রিডেটর চুক্তি। এই আবহে ভারত ৩১টি প্রিডেটর ড্রোন সহ আরও বেশ কিছু যুদ্ধ সরঞ্জাম হাতে পাবে আমেরিকার থেকে। এই আবহে মার্কিন বিদেশ দফতর বিবৃতিতে জানিয়েছে, এমকিইউ-৯বি ড্রোন হাতে পেলে ভারত জলসমীমার ওপর ভালো নজরদারি চালাতে পারবে এবং তা সুরক্ষিত থাকবে। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে লোহিত সাগর, ভারত মহাসাগর এবং আরব সাগরে পরপর হামলা হচ্ছে বহু জাহাজে। কিছু জাহাজে হামলা করছে ইয়েমেনের হুথি জঙ্গি গোষ্ঠী। আবার কিছু জাহাজ অপহরণ করার চেষ্টা করছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এই সব ক্ষেত্রেই ভারতীয় নৌসেনা বড় ভূমিকা পালন করেছে। আর তাই ভারত যত তাড়াতাড়ি এই ড্রোন হাতে পাবে, ততই মঙ্গল। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের কথাতেও তাই ফুটে উঠল। তিনি বলেন, 'ভারত এই ড্রোনের পূর্ণাঙ্গ মালিকানা পাবে এবং এতে ভবিষ্যতে আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার বন্ধন আরও মজবুত হবে বলে আশা করছি আমরা।' (আরও পড়ুন: RBI আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করলেন পেটিএম সিইও, সংকটের মেঘ কি কাটবে?)
আরও পড়ুন: এখনই চেক প্রজাতন্ত্র থেকে USA-তে পাঠানো যাবে না পান্নুন কাণ্ডে ধৃত নিখিলকে, কেন?
আমেরিকার ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সির তরফ থেকে জারি করা নোটিফিকেশন অনুযায়ী এমকিউ-৯বি প্রিডেটর ড্রোন ছাড়াও আরও কিছু সামরিক সরঞ্জাম আমেরিকা থেকে কেনার আবেদন করেছিল ভারত। সব মিলিয়ে মোট ৩.৯৯ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চেয়েছিল ভারত। সব সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেনেট কমিটির তরফ থেকে। এদিকে এই প্রিডেটর ড্রোনগুলি হাতে পেলে ভারতের সামরিক শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গত, গতবছর ৩১টি সশস্ত্র এমকিউ-৯বি ড্রোন কেনার জন্য চুক্তি হয়েছিল ভারত ও আমেরিকার। এর মধ্যে প্রথম দফায় ভারত পাবে ১০টি অত্যাধুনিক ড্রোন। তবে সেই ড্রোনগুলির সঙ্গে অস্ত্র আসবে না। যদিও এই ড্রোনগুলি অস্ত্র বহনে সক্ষম থাকবে। জনা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফা থেকে ভারত সশস্ত্র ড্রোন পেতে শুরু করবে ভারত।