ভারতে আগের তুলনায় প্রায় সব ধর্মীয় সম্প্রদায়েরই প্রজনন হার হ্রাস পেয়েছে। বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বেড়েছে সচেতনতা। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এখনও ভারতে সবচেয়ে বেশি জন্মদানের হার মুসলিম সম্প্রদায়েরই। আর সেই কারণেই স্বাধীনতার সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ক্রমাগতই বেড়েছে ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যা। ধর্মান্তরণ নয়, বেশি জন্মহারই এর কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুসলমানদের মধ্যে প্রজনন হার আগের তুলনায় অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯২ থেকে ২০১৫-র মধ্যে মুসলমানদের প্রজনন হার ৪.৪ থেকে ২.৬-এ নেমে এসেছে। হিন্দুদের মধ্যে আগেও প্রজনন হার মুসলিমদের তুলনায় কম ছিল। ১৯৯২ সালে হিন্দুদের প্রজনন হার ছিল ৩.৩। ২০১৫-তে সেটা কমে ২.১ হয়েছে।
মুসলিম এবং হিন্দু মহিলাদের মধ্যে শিশু প্রসবের ব্যবধান ১.১ থেকে কমে ০.৫ হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'ভারতের ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির মধ্যে সন্তান জন্মদানে ভারসাম্যের অভাব আগের তুলনায় অনেক কম।'

গবেষণায় বলা হয়েছে যে, 'ক্রমবর্ধমান এবং একত্রিত প্রজনন'-এর কারণে ১৯৫১ সাল থেকে দেশের ধর্মীয় গঠনে কেবলমাত্র একটিই প্রান্তিক পরিবর্তন হয়েছে। ভারতের গড় প্রজনন হার ১৯৫১ সালে যা ছিল তার থেকে কমেছে। তবে এখনও এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত অর্থনীতির দেশের তুলনায় বেশি।
গবেষণাটি ভারতের দশম আদমশুমারি এবং জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর ভিত্তিতে তাদের জন্মদানের হার, স্থানান্তর এবং রূপান্তর পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিবাসন বা ধর্মান্তরন দেশের ধর্মীয় গঠনে কোনও প্রভাব ফেলেনি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে ভারতে ধর্মান্তরন জনসংখ্যার নিরিখে নিতান্তই নগণ্য।