সাত মাসে ২৫টি বিয়ে। আর বিয়ের কয়েকদিন পরেই বর এবং শ্বশুরবাড়ি নগদ টাকা, গয়না নিয়ে চম্পট দিতেন যুবতী। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ওই যুবতী। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের। ‘লুটেরি দুলহান’ নামে পরিচিত ওই যুবতীর নাম অনুরাধা পাসোয়ান। তিনি পুরুষদের বিয়ে করে প্রতারণার জন্য প্রত্যেকবার নতুন নাম, নতুন শহর এবং নতুন পরিচয় বেছে নিতেন।
আরও পড়ুন: ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড়ের চেষ্টা করছিল, ঠকাল NGO, আত্মঘাতী নাইনের ছাত্র
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির সকলের মন জয় করে নিতেন অনুরাধা। আর তারপরেই সকলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে যেতেন। প্রায় ২৫ টি বিয়ে করে এভাবেই তিনি প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ জানতে পারে অনুরাধা একটি দুষ্কৃতী চক্রের সঙ্গে কাজ করতেন। মূলত যেসব যুবকরা অক্ষম অথবা শীঘ্রই বিয়ে করতে চান এমন যুবকদের টার্গেট করতেন অনুরাধা। এই যুবকদের বিয়ের পর অনুরাধা কয়েকদিন তাঁদের বাড়িতে একজন আদর্শ কনের মতো থাকতেন। তারপর সুযোগ পেলেই টাকা, পয়সা, গয়না গুছিয়ে উধাও হয়ে যেতেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল তিনি সম্পূর্ণ আইনি পদ্ধতিতে বিয়ে সম্পন্ন করতেন। যার কারণে ভুক্তভোগীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারতেন না।
এই মামলায় প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন রাজস্থানের সাওয়াই মাধোপুরের বাসিন্দা বিষ্ণু শর্মা। গত ৩ মে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, তিনি কনে খুঁজে বের করার জন্য দুজন ঘটক সুনিতা এবং পাপ্পু মীনাকে ২ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। ঘটকরা তাঁকে বলেছিলেন যে অনুরাধা তাঁর জন্য সঠিক মেয়ে। পরে ২০ এপ্রিল দুজনে স্থানীয় আদালতে বিয়ে করে। কিন্তু, ২ মে অনুরাধা বাড়ি থেকে গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।