ভরা ব্রিটিশ সংসদে নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্য চিত্র নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এবার সদ্য পাকিস্তানের সেনা প্রধানের ব্রিটেন সফর ঘিরে আরও এক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা সম্পর্কীয় যে কনফরেন্সে পাকিস্তানের সেনা প্রধান ইংল্যান্ড যাচ্ছেন সেখানো কাশ্মীর প্রসঙ্গ তো নিঃসন্দেহে উঠবে, আর সেই প্রসঙ্গে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন ব্রিটেন কোন স্টান্স নেয়, সেদিকে নজর সকলের।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের আমন্ত্রণে পঞ্চম সংযুক্ত ‘ইউকে-পাক স্টেবিলাইজেশন কনফারেন্স’-এ যোগ দিতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ব্রিটেন যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির। ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ থেকে ৮ তারিখে ওই কনফারেন্স চালু হবে। ব্রিটেনের উইলিংটন পার্কে আয়োজিত এই সভায় দুই দেশের স্ট্র্যাটেজিক নানান দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ‘Regional Stability in South Asia: the return of geopolitics and other challenges’ সম্পর্কিত এই বৈঠকে ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রভাবে ইউকে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পরিস্থিতি ও পাকিস্তানের অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে কাশ্মীর ইস্যুর। প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তানের দেশভাগ ইস্যুকে কেন্দ্র করে চিরকালই ব্রিটেন ঔপনিবেশিক মনোভাব পোষণ করেছে। বিশেষত কাশ্মীর ইস্যুতে চিরকালই তারা এমন কৌশল নিয়েছে যা ঔপনিবেশিক ভাবনাকে জোরদার করে। তবে এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রশাসনের সামনে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করা একটি বড় দিক হয়ে উঠছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পাশাপাশি সেখান থেকে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘোষণা করে মোদী সরকার। যা কার্যত কাশ্মীর ঘিরে পাকিস্তানেক স্বপ্ন চূর্ণ করে দেয়। পাকিস্তান তার সব মরশুমের বন্ধু চিন সমেত কয়েকটি দেশকে নিয়ে এই কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জোরালো সওয়ার করার উদ্যোগ নেয়। তবে সেই উদ্যোগে জল ঢালে আমেরিকার পদক্ষেপ। সবমিলিয়ে কাশ্মীর নিয়ে ব্যাকফুটে থাকা পাকিস্তানের সামনে আপাতত ব্রিটেন পাখির চোখ।
এদিকে, এই বৈঠকে ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনাতে আলাদা মাত্রা পেতে পারে ২০২২ সালে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাশিয়া সফরের কথা। যে সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ইমরানকে আমন্ত্রণ করেছিলেন, সেই সময়ই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে। যদিও তারপর রাশিয়াকে এই যুদ্ধ থেকে নিরস্ত্র করা যায়নি। যার রেশ আজও ইউক্রেনকে রক্তাক্ত করছে। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে, ব্রিটেন বরাবরই ইউক্রেনের সমর্থনে সরব হয়েছে। সদ্য পাকিস্তান সেই স্টান্স নিচ্ছে। সেই জায়গা থেকে এই আলোচনা বেশ প্রাসঙ্গিক।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup