যে কোনও রকম প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ভারতীয় সেনা সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত বলে আশা প্রকাশ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দরকার পড়লে নৌসেনা যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান খুব দ্রুত মোতায়েন করতে পারবে, বলে আত্মবিশ্বাসী রাজনাথ সিং। প্রসঙ্গত ভারত-চিনের মধ্যে প্রায় তিন মাসের ওপর সীমান্তে অস্থিরতা লেগেই আছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সব জায়গায় প্রস্তুত থাকছে ভারত। ভারতীয় সাগর অঞ্চলে (আইওআর) অত্যন্ত সতর্ক নৌসেনা। মুহূর্তের নোটিসে যুদ্ধজাহাজ কাজে লাগাতে পারে নৌসেনা। অন্যদিকে নৌসেনার প্যাট্রল ও রিকনাইসেন্স চপার নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা গা ঘেঁষে। এদিন নৌসেনার শীর্ষ কম্যান্ডারদের বৈঠকে তাদের প্রশংসা করেন রাজনাথ সিং দেশের সুরক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করার জন্য। ভারতের আশঙ্কা কখনো না কখনো ভারতীয় মহাসাগরে প্রবেশ করার চেষ্টা করবে চিন। গ্লোবাল শক্তি হওয়ার মোহে যেভাবে দক্ষিণ চিন সাগরে চিন দখল করার চেষ্টা করছে একই কায়দায় ভারতীয় মহাসাগরে মৌরসিপাট্টা গড়ার তারা চেষ্টা করবে বলেই ভারতের অনুমান। এই কারণে পুরো সজাগ ও সতর্ক আছে নৌবাহিনী। কোভিডের সময় অপারেশন সমুদ্রসেতুর মাধ্যমে প্রায় ৪০০০ ভারতীয়কে ফেরানোর প্রশংসা করেন রাজনাথ। যেভাবে নৌবাহিনী মালদ্বীপ, মরিশাস সহ বিভিন্ন দেশে ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে, সেটিও প্রশংসনীয় বলে তিনি জানান। এই মুহূর্তে বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে রেখেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। পার্সিয়ান গাল্ফ থেকে মালাক্কা খাড়ি থেকে আফ্রিকার দক্ষিণ পূর্ব সমুদ্রতট অবধি ভারতীয় নৌসেনার অবাধ বিচরণ। প্রতিপক্ষ কোনও বেচাল করলেই যাতে দ্রুত সেখানে চলে যেতে পারে ভারতীয় নৌসেনা, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা। কীভাবে আত্মনির্ভর ভারতের আওতায় দেশে সাবমেরিন বানানো হবে সেটি নিয়ে আলোচনা করা হবে তিন দিনের কনফারেন্সে। এছাড়াও আছে নৌসেনার কৌশন নিয়ে আলোচনা, বায়ু ও স্থল সেনার সঙ্গে তালমিল বৃদ্ধির চেষ্টা ও সার্বিক ভাবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা।