কেরলের কাসারগড়ের নীলস্বরমের কাছে একটি মন্দিরে উৎসব চলাকালে আতশবাজি দুর্ঘটনায় দেড়শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেল। আহতদের কাসারগড়, কান্নুর ও ম্যাঙ্গালুরুর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভিরারকাভু মন্দিরের কাছে একটি আতশবাজির গুদামে আগুন লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যরাতের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপরই কালেক্টর ও জেলা পুলিশ প্রধান-সহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। প্রশাসন এই অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ অনুসন্ধান করছে। (আরও পড়ুন: 'মার্কসবাদ দিয়ে মহিলার ওপর অত্যাচার চাপা দেওয়া যাবে না', তন্ময়কে কটাক্ষ মদনের)
আরও পড়ুন: 'এবার রাত দখল করবেন তো…', তন্ময়কাণ্ডে আরজি কর প্রতিবাদীদের 'খোঁচা' সায়ন্তিকার?
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কানহানগড় জেলা হাসপাতালে ভর্তি পাঁচজনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। কেরলের প্রথমসারির সংবাদমাধ্যম 'মাতৃভূমি' জানিয়েছে, ৩৩ জনকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কানহানগড়ের আইশাল হাসপাতালে ১৯ জন এবং আরিমালা হাসপাতালে ১২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ৪০ জনকে সঞ্জীবনী হাসপাতালে, ১১ জনকে নীলেশ্বর তালুক হাসপাতালে এবং পাঁচজনকে কান্নুরের অ্যাস্টার এমআইএমএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও আহতদের ম্যাঙ্গালুরুর হাসপাতালে এবং কান্নুরের পারিরামের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'সরকারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছেন SEBI প্রধান', আদানিকে টেনে বিস্ফোরক মহুয়া)
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মাতৃভূমি জানিয়েছে, কেরলের কাসারগড় জেলার নীলেশ্বরে মুলামকুঝি চামুন্ডি থিয়াম উৎসবে আতশবাজি প্রদর্শনের সময় বিস্ফোরক মজুত একটি ভবনে আতশবাজি ফাটানোর সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আতশবাজির রোশনাই দেখতে যাওয়া বহু মানুষ এতে আহত হন। আহতদের অনেকেই শিশু এবং মহিলা। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮ জন। এদিকে এই ঘটনার বিভিন্ন ভিডিয়ো এবং ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায়, একটি ভবনের ভিতরে আতশবাজি ফাটতে শুরু করে। তার ফুলকি দেখতে পাওয়া যায়। সেই সময় ভবনের বাইরে শতাধিক মানুষ। আচমকাই সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। ফুলকি থেকে অনেক আতশবাজিতে একসঙ্গে আগুন লেগে যওয়ার জেরে এই ঘটনা ঘটে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এরপরই সেখানে উপস্থিত মানুষজনের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন, আহত হন। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।